User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর অন্যান্য বইগুলোর মতো এটিও অসাধারণ একটি বই❤️
Was this review helpful to you?
or
This book can take you to a fantastic African Past
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ চাঁদের পাহাড় লেখকঃ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশকালঃ ১৯৩৭ সাল পৃষ্ঠাঃ ৯৬ মূল্যঃ ১১৪ টাকা (বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র) গল্প-সংক্ষেপঃ বাঙালীর ছেলে শঙ্কর, পাকা খেলোয়াড়, নামজাদা বক্সার, ওস্তাদ সাঁতারু—এফ্-এ পাশ করে সুবোধ ছেলের মত কাজকর্মের সন্ধান করল না, দাশান্তরের হাতছানি পেয়ে সে পাড়ি দিল সুদুর পূর্ব-আফ্রিকায় । ইউগান্ডা রেলওয়ের নতুন লাইন তৈরী হচ্ছিল—চাকরী পেয়ে গেল । ডিয়েগো আলভারেজ নামে দুর্ধর্ষ এক পর্তুগীজ ভাগ্যান্বেযীর সঙ্গে হঠাৎ সেখানে তার দেখা । শঙ্কর এই দুঃসাহসী ভাগ্যান্বেষীর সঙ্গ ধরে মহাদুর্গম রিখটারস্ভেল্ড পর্বতে অজ্ঞাত এক হীরের খনির সন্ধানে চলে গেল । ডিঙ্গোনেক বা বুনিপ নামে অতিকায় এবং অতিক্রূর এক দানব-জন্তু সেই হীরের খনি আগলিয়ে থাকত । পর্যটকেরা যারা নাম দিয়েছিলেন চাঁদের পাহাড় সেই রিখটারস্ভেল্ড পর্বতে গিয়ে জীবনমৃত্যু নিয়ে শঙ্করকে যে রোমাঞ্চকর ছিনিমিনি খেলতে হল তার আশ্চর্য বিবরণ যে-কোনো বয়সের কল্পনাকে উত্তেজিত করবে । পাঠ-প্রতিক্রিয়াঃ স্বপ্ন সবাই দেখে, কয় জনের সেটা সত্যি হয়? তবে যার হয় সে যদি নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের ছেলে হয়, তবে তো তার স্বপ্ন দেখাটাই ঘোরতর অন্যায়, তাই না? কিন্তু তারপরও কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে বলেই স্বপ্ন বাস্তবে ধরা দেয়। আর এরকম এক স্বপ্নাতুর যুবকের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “চাঁদের পাহাড়”। সময়কাল ১৯০৯, কাহিনী যাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে, সে অজ পাড়াগাঁয়ের ছেলে শঙ্কর। সদ্য এফ.এ. পাশ করে গ্রামে এসেছে। বাবা’র শরীর খারাপ, সামনে পড়ালেখা’র খরচ কোথা হতে জুটবে তা জানা নেই। এমতাবস্থায়, চাকুরী’র সন্ধান এবং সৌভাগ্যক্রমে সেই চাকুরী জোটে সরাসরি প্রবাসে, আফ্রিকার মোম্বাসায়! সাঁতার, বক্সিং, ঘোড়ায় চড়া থেকে শুরু করে সকল ধরণের শারীরিক কসরতে সিদ্ধহস্ত শঙ্কর যোগ দিল সেই স্বপ্নের দেশ, রহস্যের দেশ, এডভেঞ্চার আর রোমাঞ্চের দেশ আফ্রিকার ইউগাণ্ডা’র রেলওয়েতে। আর সেই চাকুরী জীবনে দিন দিন ঘটে যেতে শুরু করে যতসব লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা। গল্পের শুরু হয় আফ্রিকার অদম্য সিংহের নরমাংস ভক্ষণের ভীতিকর উপাখ্যান দিয়ে। শঙ্করের কর্মস্থল হতে এক এক করে প্রতিদিন মানুষ ধরে নিয়ে যেতে থাকে নরমাংস খেকো আফ্রিকান সিংহ। এরপর বদলি হয়ে যখন শঙ্কর একটা ছোট্ট ষ্টেশনের ষ্টেশন মাস্টার হিসেবে যোগ দিল সেখানে সিংহের সাথে যোগ হল সর্পের উপদ্রব। তাও যেনতেন সর্প নয়, আফ্রিকান ব্ল্যাক মাম্বা! হ্যাঁ, এই ব্ল্যাক মাম্বা পৃথিবীর বিষাক্ততম সাপের একটি, যা প্রতি ছোবলে ১৫০০ মিলিগ্রাম বিষ ঢুকিয়ে দেয় শিকারের শরীরে। ঘরের মধ্যে আপনার বিছানার পাশে একটা ব্ল্যাক মাম্বা... ভাবতে পারেন? এমনই প্রবাস জীবনে শঙ্করের সাথে পরিচয় হয় এক ইউরোপিয়ান ভদ্রলোকের সাথে। মুখভরা লাল দাঁড়ি, বড় বড় চোখ, মুখের গড়ন বেশ সুশ্রী, দেহ একসময় বেশ বলিষ্ঠ ছিল একসময় তা তাকে দেখলেই বোঝা যায়। লোকটার নাম ছিল ডিয়েগো আলভারেজ। ১৮৮৮/৮৯ সালের দিকে এই ভদ্রলোক কেপ কলোনির উত্তর পাহাড়ের জঙ্গলে খুঁজে বেড়িয়েছেন সোনার খনি। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একসময় পেয়ে যান হীরার খনির সন্ধান। রিখটারসভেল্ড পর্বত সংলগ্ন সেই হীরার খনি শেষ পর্যন্ত তিনি আর জয় করতে পারেন নাই। শঙ্করকে সেই খনির ম্যাপ দিয়ে বলেন, যদি পার যাও, জয় কর সেই হীরার খনি। গল্পের মূল কাহিনী এখান থেকেই শুরু হয়। আলভারেজ আর শঙ্কর শুরু করে তাদের দুঃসাহসিক অভিযান। এই অভিযানে তারা বন্যপ্রাণীর আক্রমণ থেকে শুরু করে আগ্নেয়গিরি’র অগ্ন্যুৎপাত সবই মোকাবেলা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে কি ঘটে? তারা কি বেঁচে ফিরতে পেরেছিল? পেয়েছিল কি সেই হীরের খনির সন্ধান? নাকি ঘটেছিল অন্যকিছু? চাঁদের পাহাড় বাংলা সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি। কেন? কারণ এই গল্প লেখা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, লেখক বিভূতিবাবু জীবনে কোনদিন আফ্রিকায় যান নি! তাহলে তিনি এত সূক্ষ্মভাবে লিখলেন কিভাবে? কল্পনা। জি হ্যাঁ! কল্পনা! শুধুমাত্র কল্পনার জোরে লেখক এমন সাহিত্য বের করেছেন। এমনকি এই ব্যাপারে তিনি নিজেই বলেছেন, “চাঁদের পাহাড় কোনও ইংরিজি উপন্যাসের অনুবাদ নয়, বা ঐ শ্রেণীর কোনও বিদেশী গল্পের ছায়াবলম্বনে লিখিত নয়। এই বই-এর গল্প ও চরিত্র আমার কল্পনাপ্রসূত। তবে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগলিক সংস্থান ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ণনাকে প্রকৃত অবস্থান অনুযায়ী করবার জন্য আমি স্যার এইচ্. এইচ্. জনস্টন (Sir Harry Johnston) Rosita Forbes প্রভৃতি কয়েকজন বিখ্যাত ভ্রমণকারীর গ্রন্থের সাহায্য গ্রহণ করেছি। প্রসঙ্গক্রমে বলতে পারি যে, এই গল্পে উল্লিখিত রিখটারস্ভেল্ড পর্বতমালা মধ্য-আফ্রিকার অতি প্রসিদ্ধ পর্বতশ্রেণী, এবং ডিঙ্গোনেক (Rhodestan monter) ও বুনিপের প্রবাদ জুলুল্যাণ্ডের বহু আরণ্য-অঞ্চলে আজও প্রচলিত।” চাঁদের পাহাড় উপন্যাসটি মূলত ছোটদের জন্যে হলেও বড়দের জন্যেও কম আকর্ষনীয় নয়। গল্পটির মধ্যে এক ধরণের নেশা পেয়েছি, যা আমাকে টানা ২ ঘন্টা ধরা রাখতে বাধ্য করেছে। এবার বলি প্রচ্ছদের কথা। চাঁদের পাহাড় উপন্যাসটির সব থেকে জনপ্রিয় প্রচ্ছদটি আমি এই রিভিউতে দেখিয়েছি। এটি করেছিলেন বাংলা সাহিত্য ও সিনেমা জগতের অন্যতম নক্ষত্র সত্যজিৎ রায়। আমাদের দেশে এই উপন্যাসের অনেক কপি, অনেক সংষ্করণ বিভিন্ন প্রকাশনী বের করেছে। তবে আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রেরটি পড়েছি, তাই বইয়ের প্রাথমিক পরিচিতিতে সেটিই উল্লেখ করেছি। সবশেষে এটাই বলবো, চাঁদের পাহাড় পড়ে দেখুন। ক্লাসিক বই পড়ে সাধারণত কেউ ঠকে না। আপনিও ঠকবেন না আশা করি! হ্যাপি রিডিং! :) রেটিংঃ ৫/৫
Was this review helpful to you?
or
বাংলা সাহিত্যে চাঁদের পাহাড় একমাত্র বই যেটি বড় থেকে ছোট সকলে পছন্দে।
Was this review helpful to you?
or
শঙ্কর বাঙালীর ছেলে,পাকা খেলোয়াড়,নামজাদা বক্সার,ওস্তাদ সাঁতারু।বিশ বছর বয়সী তরুণ।সুবোধ ছেলের মত কাজকর্ম সে চায়না।বেপরোয়া-দুর্দান্ত সাহসী সে।সে চায় রোমাঞ্চ।হটাত সে চাকরী পেয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রেনলাইন বানানোর কাজে।ইউগান্ডা রেলওয়ের নতুন লাইন তৈরী হচ্ছিল।সে পাড়ি দিল সুদুর পূর্ব-আফ্রিকায়।আফ্রিকার দেশ ইউগান্ডা ,সিংহের দেশ।রাতে সেখানে আসে মানুষখেকো সিংহ, আসে ব্ল্যাক মাম্বার মত সাপ।কিন্তু ডিয়েগো আলভারেজ নামে দুর্ধর্ষ এক পর্তুগীজ ভাগ্যান্বেযীর সঙ্গে হঠাত্ সেখানে তার দেখা।পানির তৃষ্ণায় আলভারেজ যখন মরতে বসছিলো শঙ্করই তাকে সুস্থ করে তোলে।তার কাছে হীরের খনির খোঁজ পেল সে।শঙ্কর এই দুঃসাহসী ভাগ্যান্বেষীর সঙ্গ ধরে মহাদুর্গম রিখটারস্ভেল্ড পর্বতে অঞ্জাত এক হীরের খনির সন্ধানে চলে গেল।বার বার তারা বিপদের সন্মুখীন হয়।বুনিপ নামে অতিকায় এক দানব-জন্তু সেই হীরের খনি আগলিয়ে থাকত।সেখানে আলভারেজ বুনিয়াপের আঘাতে মারা গেল।শঙ্কর হয়ে গেল একা.. সম্পূর্ণ একা।কিন্তু হাল ছেড়ে দিলনা সে।পথ হারিয়ে চলে গেল এক গুহায়।যেখানে দিনের বেলায়ও রাতের অন্ধকার।অনেক কষ্টে সেখান থেকে বেরিয়ে আসল।পরে বুঝতে পারল ওটাই ছিলও হীরার খনি।কিন্তু ততখনে পথ হারাল শুষ্ক মরুভূমিতে যেখান থেকে কেউ কখনও বেঁচে ফেরেনা।শঙ্কর কি তাহলে ফিরতে পারল নাকি পারল না...ফিরলে কিভাবে ফিরল... জীবনমৃত্যু নিয়ে শঙ্করকে যে রোমাঞ্চকর ছিনিমিনি খেলতে হল তার আশ্চর্য বিবরন যেকারো কল্পনাকে উত্তেজিত করবে।সেই সাথে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলের ভৌগোলিক সংস্থান এবং প্রাকৃতিক দৃশ্যাদির যথাযথ বর্ণনা দিয়েছেন লেখক।যেমন যেমন ভিক্টোরিয়া লেক ,চিমানিমানি পর্বতমালা ,কোপজে ,রিখটারসভেল্ড,কালাহারি মরুভূমি