User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বইঃ প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে আমাদের বাসায় চোর আসে লেখকঃআনিসুল হক প্রকাশকালঃ২০০০ প্রকাশনীঃমাওলা ব্রাদার্স মূল্যঃ৯০(রকমারি) ধরণঃশিশুতোষ উপন্যাস। কাহিনিঃ টুটুল নতুন বাসায় আসল, এই বাসার একটায় ঝামেলা, নিয়ম করে ঠিক ঠিক বৃহস্পতিবার চোর আসে। ছিচকে চোর। চোরকে খুঁজতে নামে টুটুল আর তার বন্ধু আবরার। সাথে ছিল টুটুলের নিলু খালা, খালার প্রতি অনুরক্ত আবরারের অন্তু মামা আর টুটুলের ছোট চাচা। নানা ঘটন-অঘটনের মধ্যে দিয়ে এবং প্রথম প্রথম বিরক্ত হলেও এক সময় চোরের জন্য এরা অভ্যস্ত হয়ে যায়। নিজেরায় চোরের জন্য জিনিস রেখে দিত। কিন্তু একটা মস্ত ভুল করে ফেলে নিলু খালা। ভুল করে নিজের ১৫ লক্ষ টাকার একটা কাগজ পুরানো সুটকেসে রেখে দেয় চোরের জন্য। চোর যথারীতি নিয়ে যায়। পুলিশে খবর দেয়া হলে , পুলিশ দারোয়ান আফতাব চাচা কে ধরে নিয়ে যায়। আসল চোর কি তাহলে আফতাব চাচায়?? টুটুল আর আবরারের তদন্তে কি বের হবে? পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ আগেই বলে রাখছি, এই বইয়ের পাঠ_প্রতিক্রিয়া বেশ বড় হবে। তখন ২০০০ সাল...।। ক্লাস থ্রি তে পড়ি । গাজীপুর থাকতাম, প্রথম আলো পড়তাম, একদিন বইমেলার সময় গোল্লাছুটে দিছিল এই বইটার কথা... সেদিন বাসায় ছোটমামা আসছিল, মামার কাছে বায়না ধরেছিলাম বইটা কিনে দিতে। খুব অন্যায় আবদার তখন মনে না হলেও আজ মনে হয়। মামা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র...। আসলে স্টুডেন্ট মানুষ তখন সে, হাতে টাকা আছে কি নেয় , সেটুক তখন বুঝিনি......।। বইএর দাম তখন ৬০টাকা ছিল, কিন্তু আসলে তখন মামার কাছে চাওয়া টা আমার উচিৎ ছিল না। যায় হোক এর কিছুদিন পরে, তখন কুরবানী ঈদ বোধহয় মার্চে ছিল, ঈদ এর কিছুদিন আগে মামা আমাকে এই বইটা আর, আমার ছোটবোন কে ২টা ছোট ছোট বই দেয়..................।। এত সহস্র বার বইটা সেই সময় পড়েছিলাম, দাড়ি-কমা মুখস্থ ছিল।। আজ নেই আর। আজ কে সাড়ে ১৩ বছর পর বইটা খুলেছি, এতদিন খুলি নি, আজকে মনে হল একটু খুলি......।। ছোটমামা ২০০৪ এ মারা গেছেন.........................২১ এপ্রিল........ যেদিন শুনেছিলাম উনি নেই তখন থেকে বইটা ধরে অঝোরে কেঁদেছিলাম । তার পর খবর আসে, না এখন একটু ভালো, স্কুলে পরদিন বইটা নিয়েই গেছিলাম, মনে হচ্ছিল ছোটমামা হারিয়ে যাবে বইটা কাছ ছাড়া করলে............ আসলে উনার কেবল অক্সিজেন মাস্ক খোলা বাকি ছিল...............। ২২ এপ্রিল সেটাও খুলে দেয়া হয়......। সেদিন এর পড়ে বই এর শুভেচ্ছা পাতা ছাড়া আর পড়া হয়নি, পড়িনি। আজ কে বহুদিন পর পড়তে বসে চোখের পানি ছাড়া আর কিছু নায়... খুব প্রিয় একটা বই, এই বই আমার স্মৃতি.........।। মামার দেয়া নাম, বই আর কাটানো অসংখ্য স্মৃতি...। বইটা আমার খুব প্রিয়, লেখক এর লেখা সব আমার খারাপ লাগেনা, আমি জানি উনাকে নিয়ে অনেকে নানা কথা নানা জোকস করে যাবেন। কিন্তু কেবল এই বইটার সাথের স্মৃতির জন্য আমি কিছু বলতে পারিনা। এই বই পড়ে ছোটবেলায় কত হেসেছি,আজ আর পারিনা। আসলেই পারিনা.........
Was this review helpful to you?
or
The title of the book is very big & strange! I want to read this book as soon as possible.
Was this review helpful to you?
or
বইটি মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশনী থেকে ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। এটি মূলত একটি কিশোর উপন্যাস। বইটি আমার পড়া আনিসুল হক স্যারের প্রথম বই। এই বইটি আমি খুব ছোটবেলায় প্রথম পড়েছিলাম এবং এতই ভালো লেগেছিল যে এখন পর্যন্ত বইটি অসংখ্যবার পড়া হয়েছে। টুটুলদের নতুন বাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে চোর আসে। এই চোর-রহস্য উদ্ধার করতে লেগে পড়ে দুই খুদে গোয়েন্দা টুটুল ও আবরার। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তারা এই চুরি কিভাবে হচ্ছে তার কোন হদিশ বের করতে পারে না। ওদিকে চোর আসাও বন্ধ হয় না। প্রথম প্রথম ভয় পেত টুটুলেরা। এরপর চোরের উপদ্রবে তারা অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। চোর না এলেই তাদের সবার মন খারাপ হয়ে যায়। তারা এখন চোরের জন্যে অপেক্ষা করে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে। তার জন্যে সাজিয়ে রাখে চুরি-সামগ্রী। এরই মধ্যে একদিন চুরি হয়ে যায় নিলুখালার ১৫ লক্ষ টাকার দলিল। নিলুখালার প্রতি অনুরক্ত অন্তু সাহেব পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ধরে নিয়ে যায় নিরপরাধ একজনকে। প্রকৃত দোষীর বদলে তাহলে কি সাজা পাবে নিরীহ একজন? জানতে হলে পাঠককে এই অসাধারণ উপন্যাসটি পড়তে হবে। উপন্যাসটিতে হাস্যরস যেমন আছে, তেমনি আছে রহস্যের ছোঁয়া। তাছাড়া যারা গোয়েন্দা উপন্যাস পড়তে ভালবাসেন তাদের কাছে অবশ্যই উপন্যাসটি ভালো লাগবে। কিশোরদের জন্যে লেখা হলেও উপন্যাসটি পড়ে সবাই-ই আনন্দ পাবেন। এই বইটি ব্যক্তিগতভাবে আমার খুব প্রিয়। এই বইটি পড়ার সময় আমার নিজেকে বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্র টুটুল মনে হয়। বইয়ের পাতায় পাতায় নিজেকে আবিস্কার করতে পারি আর নতুন নতুন রোমাঞ্চ দ্বারা আলোড়িত হই। আশা করি সবাই উপন্যাসটি পড়ে সেই রোমাঞ্চের অংশীদার হবেন।