User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
জোসস একটা অনুবাদ, আমি Sure এই বই টি যারা পড়বেন, তারা একটুও বিরক্ত হবেন না. Highly recommend to read this book .
Was this review helpful to you?
or
Good. Recommend to buy.
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটা বই। একবার পড়তে বসার শেষ করে ওঠা যায় না।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ লেখা; নেলসন ম্যান্ডেলা ও তাঁর জীবন সম্পর্কে জানার জন্য যথেষ্ট।
Was this review helpful to you?
or
OK
Was this review helpful to you?
or
এই বইটি পড়েছি এক কথায় বলতে চাই অসাধারণ এই বইটি পড়লে যে কেউ আফ্রিকার সুদীর্ঘ ইতিহাস খুজে পাবেন আফ্রিকার ইতিহাস জানতে অবশ্যই এই বইটি ভাল ভূমিকা রাখবে।
Was this review helpful to you?
or
নেলসন ম্যান্ডেলার ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’কে পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী বলা যায়? জবাব ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ দুটোই হতে পারে। হ্যাঁ— কারণ তিনি যে সময়টাকে ধারণ করতে চেয়েছেন; শৈশব থেকে শুরু করে ২৭ বছরের কারাবন্দি জীবন এবং মুক্তি— তার পুরোটাই কমবেশি এতে লিখেছেন।
Was this review helpful to you?
or
“নেলসন ম্যান্ডেলা তুমি শুভ হোক তোমার জন্মদিন” নেলসন ম্যান্ডেলার নাম কে না জানে। বিশ্বব্যাপী যার সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে। এই ব্যক্তি নেলসন রোলিলাহলা ম্যান্ডেলা ১৯১৮ সাউথ আফ্রিকা তে জন্ম গ্রহণ করেন। এরপর ধীরে ধীরে আফ্রিকান তথা বিশ্বের নায়ক হয়ে যান। উনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। এই মহানায়কেরই লেখা তার আত্মজীবনী ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’। আমি বরাবর আত্মজীবনী পড়তে ভালবাসি। ম্যান্ডেলার জীবনী তে উঠে এসেছে তার শৈশিব কাল সেই সময়ের আফ্রিকা, কৈশোর , যৌবন, তার শিক্ষা জীবন। ম্যান্ডেলা থেম্বু কলেজে পড়ালেখা করেছেন এরপর গিয়েছেন হিল্টডাউন স্কুলে। তারপর ইউনিভার্সিটি অব ফোর্ট হেয়ার এর কথাও উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি আইন চর্চা করা শুরু করেন এক মহানায়কের গল্প। এপার্থেইড গভর্মেন্ট , নেলসন ম্যান্ডেলা কে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেন এবং এরপর তাকে কুখ্যাত রোবেন আইল্যান্ডে কারাবন্দী করা হয়। দীর্ঘ ২৭ বছরের কারাজীবন তাকে পাড়ি দিতে হয়। এভাবে তার বৃহৎ জীবনের অনেক কিছুই এই বইতে উঠে এসেছে, সেই সাথে আফ্রিকার কথা। বইটির দ্বিতীয়ভাগে আফ্রিকার রাজনৈতিক, সামাজিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। মেন্ডেলা বইটি উতসর্গ করেছেন তার ছয় সন্তানকে। আমার প্রিয় ১০টি বই এর মধ্যে এটি একটি। আমি মনে করি সবার একবার করে হলেও ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ পড়া উচিত।
Was this review helpful to you?
or
অনেক কিছু শেখার আছে এই বই থেকে।
Was this review helpful to you?
or
নেলসন ম্যান্ডেলা। বর্ণবাদবিরোধী লড়াইয়ের অবিসংবাদিত নেতা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মেয়াদে কাটিয়েছেন কারাগারে, মোট কারাবাস করেছেন ২৭ বছর। বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য শান্তিতে নোবেল পান ১৯৯৩ সালে। তার আত্মজীবনীর নাম ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’। বইয়ের শুরুতেই নিজ গ্রামের বর্ননায় তিনি লেখেন- “সবুজ এক উপত্যকায় কুনু গ্রাম। তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে স্বচ্ছ জলের ধারা। কুনুর মাথার উপর দিয়ে তাকালে নজরে পড়ে সবুজ পাহাড়। খুব বেশি হলে কয়েক শ’ মানুষের বাস ছিল কুনুতে। ছোট্ট কুঁড়েঘরে বাস করত তারা। কুঁড়েগুলো দূর থেকে দেখলে মৌচাকের মতো লাগত। কাঁদামাটি দিয়ে তৈরি দেয়াল। মাঝখানে কাঠের লম্বা খুঁটি। তার উপর খড়ের পাতলা চালা। নিচ থেকে মাটি উঠিয়ে নিজেদের কলোনিতে পিঁপড়েরা যে শক্ত ঢিবি বানিয়ে রাখত, কুনু গাঁয়ের কুঁড়েগুলোর মেঝে ছিল ওই উইঢিবি দিয়ে তৈরি! আর মেঝে ঝকঝকে রাখতে গোবর দিয়ে নিয়মিত লেপা হত। সেই গ্রামেই আমার জন্ম”। শুধুমাত্র এই কটি লাইন পড়েই পাঠকের আগ্রহ জন্মাবার কথা বইটি শুরু করতে। ধাপে ধাপে আরো উঠে এসেছে তাঁর ২৭ বছরের দীর্ঘ কারাবাসের দিনগুলির ধারাবাহিক গল্প, কীভাবে তিনি এবং তাঁর আফ্রিকান কংগ্রেস ক্ষমতাশালীদের হটিয়ে ক্ষমতা লাভ করেছিলেন, কীভাবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন। এই বইটির কাহিনী নিয়ে ২০১৩ সালে একটি সিনেমা ও তৈরি করা হয়। বইটি ১৯৯৫ সালে বিখ্যাত Alan Paton Award পায়।
Was this review helpful to you?
or
শুরু করা যাচ্ছে না কিছু কথা। শুরু খুজে পাচ্ছি না। কারণ আমি শেষটা জানি শুধু। কালো রঙের মানুষের সবুজ রংয়ের দেশের কথা। তার মাঝে অতি সাধারন মানুষের জীবন। এত সাধারণ, যা ভাবাই যায় না। সাদা চোখে দেখা মানুষ কি শুধুই একজন মানুষ, নাকি এর মধ্যে অন্য কিছু আছে? যে শিশু আজ আমার আংগীনায় ঘুরে বেড়াই তার মধ্যে কি আছে? সে কি প্রকৃতির সন্তান নাকি আমার? সে কি প্রভুর কাছে থেকে কিছু নিয়ে এসেছে এই জগত দুনিয়ার কল্যানের জন্য? কে এই শিশু যে আমার চারিদিকে ঘুরে ঘুরে সবুজের সাথে খেলে যায়? আপন মনে ভাংগে আর গড়ে? প্রকৃতি আর মায়ের কাছে থেকে সে কিভাবে ভালবাসতে শিখে?-আমি কয়েকদিন ধরে এভাবেই ভেবেছি অবাক হয়ে? শুধু অবাক হয়েছি…কখনো মনে হয়েছে আমি অবসেসড (Obsessed) হয়ে গেছি এমন চিন্তাধারার মধ্যে- কিভাবে বায়বীয় চিন্তাধারার একটা শিশু বেড়ে ওঠে? কিভাবে সে নিজের মধ্যে মানব স্বত্তা খুজে পায়, নিজের মধ্যে নিজেকে ধারণ করে? কিভাবে সে স্বত্ত্বার সাথে কথা বলা শেখে? কখন জানতে পারে শুধু সাফল্য পাওয়ার জন্য তার জন্ম হয়েছে এ পৃথিবীতে? আবার কখন বা হাজারো দারিদ্র আর বাস্তবতার আঘাতের মধ্যেও মানুষের জন্য দেখা স্বপ্নকে বাচায়ে চলে? কিভাবে ধীরে ধীরে তার চারিদিকের মানুষগুলো তার মধ্যে নির্ভরতা খুজে পায়? দেশ, সমাজ, পরিবারের সংস্কৃতিকে আগলে রাখতে শিখে ? তারপর কিভাবে সেই সাধারণ মানুষ লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্নকে ধারণ করে? জীবন কি এত দীর্ঘ হয়?- আমার কাছে এ গল্প যেন শুধুই অবাস্তব এই কারণে যে, আমি তো আমাকে নিয়েই ব্যস্ত, আমি তো আমাকেই তুষ্ট করতে পারিনি আজো। কোথায় সমাজ, পরিবার, জাতি, রাষ্ট্র, বিশ্ব প্রাঙ্গনে আমার পদচারনা? ……আমি এসব কিছুই বুঝি না। আবার ঐ কালো শিশুটির কথাই বলি। ট্রান্সকেই’র চিরসবুজ গ্রাম এম্ভেজোতে জন্ম হয়েছিল তার। বাবা তার অক্ষর জ্ঞান হীন একজন ইতিহাসবিদ; নীতি নৈতিকতা এবং দূরদর্শীতার দিক হতে এতই সচেতন যে বৃটিশ শাসকগণ তাকে গোত্র অধিপতীর রাজ দরবারের উপদেষ্টা বানিয়ে ফেললেন।বৃটিশরা সাধারনত মানুষ চিনতে ভুল করে না। যার মধ্যে প্রতিভা দেখে তাকে তুলে নেয় নিজ স্বার্থ রক্ষায়। তারা উপজাতিদেরকে উপজাতি দিয়েই শাসন করতো। নিজ গ্রামের মধ্যে ম্যজিস্ট্রেসী করবার দায়িত্বটাও পেলেন শীর্ণকায় ঐ কৃষ্ণ বর্নের শিশুর বাবা।উত্তরাধিকার সূত্রে প্রভাব প্রতিপত্তি থাকলেও অক্ষর জ্ঞান হীন মানুষের জন্য সে ঐতিহ্য ধরে রাখা সহজ ছিল না।কিন্তু সহজ হয়েছিল তার বাবার জন্য ।হঠাৎ ছোট্ট একটা ঘটনায় আদর্শিক দ্বন্দ্বে, আত্নবিশ্বাস এবং আত্নসম্মান রক্ষার্থে বৃটিশ ম্যজিস্ট্রেটের হুকুম তামিল করতে অস্বীকার করায় তার উজ্জ্বল ভবিষৎ এবং ম্যজিষ্ট্রেসীর পদটি হারাতে হলো। হারাতে হলো প্রভাব, প্রতিপত্তি, সম্পদ- সম্পত্তির অধিকাংশই। অসম্ভব রকম আত্নসম্মানী, নৈতিক শক্তিতে বলীয়ান এবং দূরর্দর্শী ঐ কালো মানুষটি বউ-বাচ্চা রওনা দিলেন কুনু গ্রা্মের উদ্দেশ্যে। নির্বাসনের জীবন । কেননা বৃটিশ ম্যজিষ্ট্রেটের আদেশ অমান্য করেছেন তিনি। যেতেই হবে তাকে। সমাজচ্যুত করেছে সরকার তাকে। তবু নীতির সাথে আপোষ নয়। মাটির মানুষ মরে যাই, চলে যাই, মিশে যাই মাটিতে মাটি হয়ে, কেউ বা আগুনে পুড়ে ছায়ে পরিনত হয়…কিন্তু পিছে কি কিছু ফেলে রেখে যাই তারা? –যাই। ফেলে যাই। জীন (Gene) ফেলে যাই-বাবা, মা আর তাদের উত্তরাধীকারেরা। অদ্ভুত এই মায়াজালের জগৎ কাউকে ভোলে না। যেতে দেয় না কাউকে। ধরে রাখে তার অদ্ভূত মায়াজালে। মায়াজালের এই পৃথিবীর কোনায় পড়ে থাকা কোন এক উপজাতী-ঝোসা সম্প্রদায়ভুক্ত গাডলা হেনরী এম্ফ্যাকানিশোয়া এবং নোসেকেনী ফ্যানী’র উত্তরাধিকার রোলিহলাহলা, যার এই “অসভ্য”নাম পাল্টে একজন শেতাংগ শিক্ষিকা পরবর্তীতে নাম রাখেন “নেলসন”-যার পরিবারের কেউ কোনদিন লেখাপড়া করেন নি। উপজাতীয় গোলপাতার কুড়েঘর, কাচা গোবরে লেপা মাটির উঠান, বুনো ঘোড়ার সংগ, গাভির ওলানে মুখ দিয়ে কবোষ্ণ পীযুষধারা পান করা, উদোম গায়ে শীর্ণকায় কালো শরীর নিয়ে বুনো ঝর্নায় সাতার দেওয়া, উড়ন্ত পাখীকে এক নিশানায় তীর ধনুকের আঘাতে মাটিতে ফেলে দেওয়া, বুনো শুয়োর শিকার করে আগুনে ঝলসে খাওয়া, একবেলা রুটির আহার, দিনে প্রকৃতি ,রাতে মা এভাবেই যে শিশুর শৈশব পেরিয়ে গেল সে কিভাবে হয়ে যায় এক চলমান ইতিহাস, কিভাবে হয়ে গেল পৃথিবীর অপার বিশ্ময় তা জানবার ইচ্ছা আমাকে তাড়া করে ফিরেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। ১৮ই জুলাই, ২০১৩ এই মহান নেতার ৯৫তম জন্মদিনে আমার লেখার প্রেরনাস্বরুপ আমার প্রিয় সব্যসাচী পাঠক আমাকে “লং ওয়াক টু ফ্রিডম” বইটি উপহার দেন। আমি দু/এক্টা আর্টিকেলের রিভিউ লিখেছি, কোন বইয়ের রিভিউ লিখি নাই এর আগে। কিন্তু এই বইটি পড়ে রিভিউ লেখার সুযোগটা হাতছাড়া করতে পারলাম না। আমাদের দেশের সাধারন পাঠকদের জন্য আমি বলব, বইটি পড়ুন, জানুন একটা সাধারন মানুষের কথা, যিনি নিজে কোনদিন অসাধারন হতে চান নাই, কিন্তু সময় আর প্রয়োজন তার বিবেককে কিভাবে নাড়া দিয়েছিল, কিভাবে তার নৈতিক শক্তি তাকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছিল, কিভাবে তিনি তার কর্তব্যগুলি ঠিকঠাক করে নিলেন, কিভাবে তিনি একজন রোলিহলাহলা থেকে নেলসন মেন্ডালায় পরিনত হলেন। বইটি পড়ার পরে থেকেই আমার ভেতর একটা স্বপ্ন- আমাদের সমাজের হয়ত কোন এক কোনে বেড়ে উঠছে এমন ভাবে কোন এক শিশু, যিনি হয়ত আমাদেরকে হেমন্তের বাতাসের গন্ধ নিতে শিখাবেন, শীতের ভোরের দুর্বায় লাগে থাকা রাতের কুয়াশা শিশির হয়ে পড়ে- সে শিশিরের স্পর্শ কেমন তা জানবার সুযোগ করে দিবেন,বরষার ডুবো জলে শাপলার বুনোমাঠে পা ডুবে ডুবে চলতে শিখাবেন, সবুজ চত্বরে দাড়িয়ে নীল আকাশের সাথে মাটির দিগন্ত রেখা ছোয়ার স্বপ্ন দেখাবেন, শিক্ষা দেবেন কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে হয়, ভালবাসার অপরিসীম শক্তি দিয়ে কিভাবে দেশের জন্য, নিয়মের জন্য, নৈতিকতার জন্য লড়তে হয়। অনুবাদকদ্বয়ের এই অক্লান্ত শ্রম সাধনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ছোট খাট কিছু বানান যেন ঠিক করে দেন পরবর্তী সংস্করনে। আন্তরিক ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাভাষায় এমন একটি বই পড়ার সুযোগ তৈরী করে দেবার জন্য।