User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
বই পর্যালোচনা: কমল - রাজনৈতিক কল্পকাহিনীর এক অনন্য সৃষ্টি রাজনৈতিক কল্পকাহিনীর ধারায় বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বই কমল। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে রচিত এই উপন্যাস পাঠকদের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়, যেখানে বাস্তবতা ও কল্পনার মিশেলে এক অনন্য গল্প গড়ে উঠেছে। লেখকের চিন্তার গভীরতা ও সৃজনশীলতা পাঠককে মুগ্ধ করে। বইটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক কল্পকাহিনী নয়; এটি বাংলাদেশি রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সামাজিক এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব ও সম্ভাবনার প্রতিফলন। গল্পের পটভূমি এবং চরিত্রসমূহ "কমল"-এর গল্প মূলত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। বইটির অন্যতম বিশেষ দিক হলো এর প্রাণবন্ত চরিত্রসমূহ। লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে প্রতিটি চরিত্রকে গড়ে তুলেছেন, যা পাঠককে গল্পের গভীরে ডুবিয়ে দেয়। ১. আহমেদ: গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আহমেদ একজন আদর্শবাদী যুবক, যার চিন্তা-চেতনায় রাষ্ট্রের প্রতি গভীর দায়িত্ববোধ। তার ব্যক্তিত্ব এবং কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে লেখক সমাজের তরুণদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন। ২. নাদিয়া: নাদিয়া চরিত্রটি একজন সাহসী ও স্বপ্নবিলাসী নারী হিসেবে গড়ে উঠেছে। তার ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনচেতা মনোভাব এবং নিজের আদর্শের প্রতি নিষ্ঠা গল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাজনৈতিক পটভূমি ও লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ঘিরে লেখকের কল্পনা অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। যদিও বইটি একটি রাজনৈতিক কল্পকাহিনী, তবুও এর প্রতিটি অধ্যায়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রভাব স্পষ্ট। জিয়াউর রহমানের জীবন ও তার সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে লেখকের বিশ্লেষণ পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে। লেখক দেখিয়েছেন, রাজনীতির নেপথ্যে থাকা সংগ্রাম, ষড়যন্ত্র এবং আদর্শিক লড়াই কেমন করে ব্যক্তিগত জীবনের উপর প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র একটি কল্পকাহিনী নয়, বরং পাঠকদের জন্য একটি চিন্তার খোরাক। লেখার গতি ও ভাষার ব্যবহার লেখকের বর্ণনাভঙ্গি এবং ভাষার ব্যবহারে স্বতন্ত্রতা স্পষ্ট। প্রতিটি বাক্যে আছে গভীর চিন্তা এবং মাধুর্য। কাহিনীর গতি অত্যন্ত মসৃণ এবং পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। রাজনৈতিক কাহিনীর জটিলতাগুলো সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে লেখক অত্যন্ত দক্ষ। ফিকশন ও বাস্তবতার মেলবন্ধন বইটির আরেকটি অসাধারণ দিক হলো, লেখক বাস্তবতা এবং কল্পনার মধ্যে একটি সুন্দর মেলবন্ধন করেছেন। বাস্তব ঘটনাগুলোর উপর ভিত্তি করে কল্পনার রঙে গল্প সাজানো হয়েছে। এতে পাঠক একদিকে যেমন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানতে পারেন, অন্যদিকে কল্পনার জগতে ডুব দেন। বইটির গুরুত্ব "কমল" শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়; এটি আমাদের সমাজ এবং রাজনীতির উপর একটি তীক্ষ্ণ মন্তব্য। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি একটি অনুপ্রেরণা হতে পারে। লেখকের চিন্তার গভীরতা এবং কল্পনার বিস্তৃতি আমাদের রাজনীতি এবং সমাজ সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়। উপসংহার "কমল" একটি অসাধারণ রাজনৈতিক কল্পকাহিনী, যা কেবল বিনোদনের জন্য নয়, বরং চিন্তার জগতে আলোড়ন তোলার জন্য লেখা। আহমেদ, নাদিয়া, এবং শুভর্ণার মতো চরিত্রগুলো শুধু গল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; তারা আমাদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ঘিরে লেখকের কল্পনা এবং বিশ্লেষণ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। রাজনীতির জটিলতা এবং মানবীয় সম্পর্কের গভীরতা বোঝার জন্য "কমল" বইটি অবশ্যই পাঠযোগ্য। এটি পাঠককে একদিকে যেমন বিনোদন দেয়, অন্যদিকে গভীরভাবে ভাবতে বাধ্য করে। অতিরিক্ত তথ্য : বইটিতে বাইশটার মত স্কেচ যা হাতে আঁকা। বইটির illustration দারুন হয়েছে। লেখক আসিফ আহমদ ভাইয়ার জন্য শুভকামনা রইল যেন সে এরকম কাজ আরও আগামীতে আমাদের উপহার দিতে পারে। #কমল
Was this review helpful to you?
or
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তরুণ লেখক আসিফ আহমদের প্রথম উপন্যাস "কমল"। কিছুদিন আগে বইটি পড়া শেষ করেছিলাম। তবে ব্যস্ততার কারণে রিভিউ দিতে দেরি হলো। আমি নিজে খুব ভালো রিভিউ লিখতে পারি না, তবে বইটি পড়ে আমার অনুভূতি ও কিছু ছোটখাটো মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। প্রথমেই বলবো, তরুণ লেখক হিসেবে আসিফ আহমদ একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। কারণ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাংলা সাহিত্যে এটিই প্রথম কাজ। তাঁর মতোন গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রকে কেন্দ্র করে উপন্যাস লেখা সহজ কাজ নয়, এরকম ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ সফল করেছেন লেখক আসিফ আহমদ। উপন্যাসটিতে জিয়াউর রহমানের সৎ ও সরল জীবনযাত্রার বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে, বঙ্গভবনের পরিবর্তে সেনানিবাসের পুরোনো বাসায় থাকা, সাধারণ খাবারে অভ্যস্ত থাকা—এই বিষয়গুলো অত্যন্ত মানবিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। একই সঙ্গে, তাঁর শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যেমন খাল খনন, গণশিক্ষা, গ্রাম সরকার কর্মসূচি ইত্যাদি দারুণভাবে উঠে এসেছে। এসব উদ্যোগ দেশের কৃষি ও অর্থনীতিতে যে অবদান রেখেছিল, লেখক তা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিপ্লব, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব, রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর কাজের দূরদর্শিতা, বেগম জিয়ার সঙ্গে প্রণয়, তাঁদের পারিবারিক জীবনের ভালোবাসা, গ্রাম বাংলার মানুষের ভালোবাসা এবং অকাল মৃত্যুসহ জিয়াউর রহমানের জীবনের নানান অধ্যায় লেখক চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। উপন্যাসের শুরুতে আহমেদ ও নাদিয়ার গল্প একটি সুন্দর প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, যা গল্পের কাঠামোকে আরও মোহনীয় করেছে। তবে উপন্যাসটিতে এমন কিছু অপ্রচলিত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা অনেক পাঠকের কাছে বোধগম্য নাও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, "কেদারা" শব্দটি বারবার ব্যবহার করার পরিবর্তে "চেয়ার" বললেই পাঠকের কাছে সহজতর এবং আরও বেশি সুখপাঠ্য হতো। ১৭ নম্বর পৃষ্ঠায় একটি তথ্যগত ভুল লক্ষ্য করেছি। যেহেতু উপন্যাসটি জিয়াউর রহমানের সময়কালকে কেন্দ্র করে লেখা, তাই সেই সময়ের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার নয়, রবিবার উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল। এছাড়া যেহেতু উপন্যাসটি তথ্যনির্ভর এবং ঐতিহাসিক চরিত্রকে ঘিরে লেখা, তাই তথ্য সংযুক্তির ক্ষেত্রে রেফারেন্স উল্লেখ করা গেলে বইটির গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেত। ?শেষ কথা: তরুণ লেখক হিসেবে আসিফ আহমদের এই কাজটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। আশা করি "কমল" বইটি পাঠকদের হতাশ করবে না। যদিও কিছু ভুলভ্রান্তি এবং ঘাটতি রয়েছে, আশা করা যায়, ভবিষ্যতে লেখক আরও পরিণত এবং নিখুঁত কাজ উপহার দেবেন। লেখক আসিফ ভাইয়ের জন্য শুভকামনা এবং ভালোবাসা অবিরাম। ▪ রেটিং: ৪.২৫/৫
Was this review helpful to you?
or
রিভিউ বই: কমল লেখক আসিফ আহমদ প্রকাশনী:অনুজ প্রকাশন পৃষ্ঠা:২০৬ জনরা: ঐতিহাসিক উপন্যাস শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে নিয়ে প্রথম উপন্যাস 'কমল'। ফ্ল্যাপ: দরজায় টোকাটা এবার দ্বিগুণ হলো, সাড়াহীন তবুও দরজার ওপাশ। বিরক্ত হলেন না তিনি, নাম ধরে হাঁক দেয় সজোরে, 'লুৎফুর, এই লুৎফর। লুৎফুর...', কপাটের ওপারে অবশেষে কর্ণপাত হয়, 'জি স্যার জি স্যার উঠতাছি।' সটান দুয়ার ভেদ করে বেরিয়ে আসে হাবিলদার লুৎফুর রহমান। উদোম বুক, পরনে কুঁচকানো লুঙ্গি। চোখজুড়ে এক জাহান ঘুম। 'আজান পড়েছে সেই কবে, আল্লাহ-খোদা নাই বুঝি? মুজিব কোথায় ওকে ডেকে তোলো। আজ একসাথে জামাতে নামাজ পড়ব।' এতক্ষণে পূর্ণ চোখে তাকায় লুৎফুর তেজস্বী কণ্ঠের দিকে। প্রভাতের এই মৃদু আলোয়ও প্রস্ফুটিত কপালে মৃদু ঘামের রেখা। তার বুঝতে বাকি রইল না, জগিং করে ফিরেছেন মাত্র। সদ্য কামানো চোয়াল। সরু গোঁফ। বুদ্ধিদীপ্ত জ্যোতি-উজ্জ্বল চোখজোড়া চেয়ে আছে তার দিকে। পরনের ট্রাউজার আর গেঞ্জিটা যেন বয়স অর্ধেকের কোটায় নিয়ে এসেছে। অথচ তিনি বাংলাদেশের 'চিফ অব আর্মি স্টাফ', একই সাথে উপ-সামরিক আইন প্রশাসক মেজর জিয়াউর রহমান। প্রথম দর্শনে যে কেউ পঁচিশ বছরের যুবা ঠাউরে ভুল করবে। 'এই লুৎফুর হলোটা কী?' কল্পরাজ্যের মৃত্তিকায় সহসা যেন ফাটল ধরে। 'কিছু না স্যার, এখনই আসছি আমরা।' ত্বরিত জবাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার বৃথা চেষ্টা। দু'কদম বাড়িয়ে পিছু ফিরেন জিয়া আবার, 'আর হ্যাঁ, ড্রাইভারকে বলো দ্রুত গাড়ি বের করতে। নামাজ পড়া মাত্র বেরোব। কুইক, হারি আপ...' পাঠপ্রতিক্রয়া: এমন কোন বই পড়ার সুযোগ আমি পাবো তা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল।কারণ আমি থ্রিলারপ্রেমি মানুষ! খুন,কাঁটাছেড়া, নিয়ে পড়তে পড়তে কেমন একটা নেশা হয়ে গিয়েছে। নিজ comfort zone থেকে সরে গিয়ে এই প্রথম কোন বই পড়ে এতটা উপভোগ করলাম। তবে এই উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে আমার পুরো রিডিং ক্যারিয়ারটা আমাকে প্রশ্ন করেছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় আমি যথেষ্ট হিমশিম খেয়েছি। তবে শেষে বলতে বাধ্য হয়েছি আসলেই অসাধারণ একটা বই। আর পড়ার পর মনে হয়েছে এধরণের উপন্যাস হয়ত এটাই প্রথম। রিভিউয়ের পালা: প্রথমেই বলতে চাই লেখককে এধরনের প্লট ভেবে লেখায় রূপান্তরিত করে তা ছাপার কাগজে প্রকাশ করা। অন্তত আমার দিক থেকে দু:সাহসিক মনে হয়েছে। বইটিতে মুলত দেখানো হয়েছে ১৮৭৬ সাল থেকে থেকে ১৯৮১ সাল অবদি। আর কটুতিক্ত সত্য কথা হলেও আমাকে বলতেই হচ্ছে যে সেই দুঃসময় টা আমাদের আবারও ২০২৪ এ দেখতে হয়েছে। এই বইটিতে যার কথা উঠে এসেছে তিনি হলেন জিয়াউর রহমান, যিনি অপামর বাঙালির ভালোবাসার মানুষ! দেখানো হয়েছে সে সময়ের পরিস্থিতি, তবে আমি একটা বিষয়ে অবাক হয়েছি যে এত অনাড়ম্বর একটা মানুষের জীবন হতে পারে? কেন একটু জাঁকজমকপুর্ণ হলে কি খারাপ হত! তিনি তো বিশিষ্টজন ছিলেন একটু উশৃংখল হলে কি বা হত? আমি সত্য কথাটাই বলতে চাই, ভেবেছিলাম ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস কী বা এমন হবে? গাদা ভরা কিছু সাল থাকবে। সেই টার কোন একটা সাল বা কয়েকটা সাল মিলে একটা গল্প দাড়াবে আর কি! তবে আমি এভাবে ভুল প্রমাণিত হব তা বুঝতে পারিনি। এবং গর্ব করে একটা কথা বলতে চাই, লেখকের শব্দ ভান্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ। যা বর্তমানে পাওয়াটা বড়ই দুষ্কর। জিয়াউর রহমান কী কেমন, কী ছিলেন তা সবারই জানা, নতুন করে কিই বা বলার আছে? বলতেও কি পারব? যোগ্যতাই তো নেই। তবে এখানে জিয়া কে? কি তার পরিচয় পদবী এসব ছাপিয়ে জিয়াকে দেখানো হয়েছে একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে। ব্যাক্তি জিয়া কে দেখানো হয়েছে। কেন যেন বইটা পড়তে পড়তে বারবার বাস্তবটা মিলাচ্ছিলাম। তবে হুম একটা কথা বলবো শব্দচয়নের কঠিনতার কারণে পড়তে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। যা আমি আশা করতে পারিনি। এখানে জিয়ার শাসন,ন্যায়পরায়ণতা, নিরহংকার মনোভাব ও জবাব দিহিতার শাসনের যে অনুশীলন তিনি করেছিলেন তা দেখানো হয়েছে। নিজ উপলব্ধি থেকে একটা কথা বলতে চাই। "কাঁটার তাজ মাথায় পরা সহজ না।" নামের যথার্থ: বইয়ের নামটা জিয়া ব্যাক্তি হিসাবে যা ছিলেন তারই প্রতিরূপ। প্রিয়লাইন: "এবার আপনাদের প্রশ্ন করি। আহমেদ খানিক ঘাবড়ে যায়, প্রেসিডেন্ট সাহেব কিনা কী জানতে চায় সেই বিঘ্নে, 'আপনাদের বেতন কত বলুন তো। এই বলে জিয়া দু'জনের দিকে চেয়ে স্মিত হাসেন। সংখ্যাটা জানার পর। তিনি বলে উঠেন, 'আপনাদের বেতন তো আমার চেয়েও বেশি! তৎক্ষনাৎ জবাব দেয় আহমেদ, 'কিন্তু স্যার আপনার যা সুযোগ সুবিধা তার এক ভাগও তো আমরা পাইনা। এই কথা কর্ণপাতে জিয়া উত্তর করেন না কোনো। মিটিমিটি হাসেন কেবল।" "কেবল মৃত্যু বরণ করলেই যে তাকে আমরা হারাই তেমন না। সশরীরে উপস্থিত থেকেও অনেকে হারিয়ে যায় দূর বহুদুর!" "'একসাথে কয় কিলোমিটার হাটতে পারেন কবি সাহেব?" "'আমি আগেই বলেছিলাম, ল উইল টেক ইটস ওন কোর্স।" "'ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টি রাখুন। ইতিহাস যোগ্যতার ভিত্তিতেই সকলকে স্থান দিবে। ইতিহাস ও জনগণ মিথ্যা বলেনা।" "ভাটা নামায় প্রখর জলস্রোতা মেঘনা পাড় কেমন সমুদ্র তীরের ন্যায় চোখে বিঁধে। প্রথম নজরে সমুদ্র বলে ভুল করাটা জায়েজ।" চরিত্র নিয়ে কিছু কথা: চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসে নাদিয়ার কথা, আর গল্পের শুরুটা! যেটা পড়ে বুঝতে মিনিমাম ৫ মিনিট সময় তো লেগেই গিয়েছিলো, নাদিয়া কে যদি বলি উপমায় বলতে হয় স্রোতবিহীন শান্ত নদীর মত! কিছুটা লাজুক কিছুটা চুপ চাপ। আর বলতে বাধা নেই, নাদিয়ার চরিত্রে শেষ অবদি নাদিয়ায় সেরা। আহমদ: আহমদকে নিয়ে একবাক্যে বলতে ইচ্ছে করে শক্ত দুর্ভেদ্য নিরপত্তা বেষ্টনীর মত, একটা ভরসার হাত, বা হয়ত মানুষটায় ভরসার? কে জানে? তবে সে যত্নশীল এটা বলায় যায়! আর পুরুষ যত্নশীল হলে আর কি বা লাগে? সুবর্ণা: সুবর্ণাকে নিয়ে কি বলবো নিজেরও জানা নেই। বলতে গেলে নিজেকে রাখতে হবে সেখানে। কেন যেন মনে হয় চরিত্রটা আমি নিজে! তার এত এত কথার মধ্যে এখনো কানে বাজে একটি লাইন, "কেবল মৃত্যু বরণ করলেই যে তাকে আমরা হারাই তেমন না। সশরীরে উপস্থিত থেকেও অনেকে হারিয়ে যায় দূর বহুদুর!" আসলেই কথাটা সত্যি চরম সত্যি সুবর্ণার দাদাজান: আমি একটু থমকে গিয়েছিলাম, কারণ জীবনের এক চরম সত্য তো তিনিই দেখালেন। পিনু: পিনু হলো তারেক জিয়ার ডাক নাম যাকে পেয়েছি চঞ্চল এক বালক হিসাবে দায়িত্ববান ভাই বললে কি খুব খারাপ হবে? হলে হোক না। সবকিছুর ভালো দেখতে নেই। পুতুল: তিনি হলেন বেগম জিয়া, তাকে পেয়েছি এক অতি সাধারণ স্বামী ভক্ত নারী হিসেবে। যিনি স্বামীর মৃত্যুকে ভয় পেতেন।হারানোর আশংকায় থাকতেন। জিয়া: তাকে নিয়ে কি বলবো? কিছুই তো নেই বলার! যোগ্যতাটাই তো নেই এটুকু বলি, তিনি ছিলেন বজ্রকঠিন কন্ঠের অধিকারী। আমাতুল্লাহ: বেশ মিষ্টি লেগেছে এই চরিত্রটাকে বাচ্চাসুলভ। আরো কিছু চরিত্র আছে যেমন নাদিয়ার বাবা মা, তারাও তাদের চরিত্রে যথার্থ সব ভালোলাগার কথা আর নাইবা বললাম, বইটাই যে ভীষণ প্রিয় হয়ে গেল দিন শেষে এটাই সার্থকতা। নিজ জনরার বাইরে গিয়ে কিছু পড়ে শেষ করতে পারব এটা 'কমল' শুরু করার পর অসম্ভব মনে হয়েছিল। তাও পারলাম এটাই প্রশান্তি।
Was this review helpful to you?
or
Boi er quality onk vlo chilo page gulao jothesto vlo chilo apnara nite paren Amar kache vlo lagse boi ta ok?
Was this review helpful to you?
or
প্রেসিডেন্ট জিয়াকে নিয়ে লিখা প্রথম উপন্যাস। তাও লিখেছেন খুবই তরুণ একজন লেখক। এতোকিছুর পরেও তরুণ প্রজন্ম জিয়াকে নিয়ে ভাবে এটা একটা চমৎকার। যেহেতু একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে লেখা উপন্যাস, সেহেতু লেখার ভাষা আরো সরল হলে ভালো হতো। লেখকের মঙ্গল কামনা করি।