User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
"নিতুর মাহবুব ভাই" বিতর্কিত এবং সমালোচিত এই বইটা পড়ার একরকম উগ্র কৌতূহল থেকেই মূলত কিনেছিলাম। এরপরে পড়ে দেখলাম। আজ রিভিউ শেয়ার করছি। “নিতুর মাহবুব ভাই”- তৃধা আনিকা এখানে কাহিনী সংক্ষেপ কি লিখবো বুঝতে পারছি না। কারণ বইটায় কাহিনী বলতে তেমন কিছুই নেই। যা আছে সেটাই সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি। নিতু নামের একজন সতেরো আঠারো বছরের তরুণী দুনিয়ায় আর কাউকে না পেয়ে প্রেমে পড়ে তারই এক চাচাতো ভাইয়ের, যার নাম মাহবুব। সে এয়ারফোর্সের পাইলট। ঠিক আছে, মেনে নিলাম চাচাতো ভাইয়ের ওপর কমবয়সী মেয়ে ক্রাশ নাহয় খেতেই পারে, বয়সোচিত অপরিপক্বতার দরুন। কিন্তু তাই বলে এরকম একজন মানুষের!! একটা আদ্যন্ত টক্সিক, অ্যাবিউজিভ, নার্সিসিস্টিক প্রকৃতির ছেলের, যাকে লেখিকা নিজেই বইয়ের বিভিন্ন এবং বেশিরভাগ জায়গায় “ছোটলোক”, “ইতর”, “বেহায়া”, “অসভ্য”, “বদমাশ”, “নিচু মনের” ইত্যাদি সম্বোধনে অভ্যূষিত করেছেন। আশা করি উপরোক্ত এই সম্ভাষণ সমূহ আপনাদের মনে ইতিমধ্যে মাহবুব ভাইয়ের প্রকৃতির সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা দিয়েছে। ভাই রে ভাই, একজন নায়ক সে, কমসে কম তাকে আরেকটু ভদ্র আর সুশীল করাই যেতো। কিন্তু রীতিমত থার্ড গ্রেড বাংলা সিনেমার ভিলেন বানিয়ে ছেড়েছে লেখিকা। আচ্ছা তাও যদি হত যে মাহবুব ভাইকে নিতু একাই ভালোবাসে কিন্তু সে নিতুকে বাসেনা, তাহলে নাহয় এটা মেনে নেয়া যেতো। কিন্তু তা না, ভাই নিজেও যে নিতুকে ভালোবাসেন তা গাধি নিতুর বুঝে না আসলেও পাঠকদের ঠিকই বুঝতে অসুবিধে হয়না। অনেকেই আছে, ভালোবাসার মানুষের সাথে একটু রূঢ়ভাবে কথা বলে নিজের দুর্বলতা ঢেকে রাখার জন্য। কিন্তু এই মাহবুবের মত মরণ চাঁদ সত্যিই খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। আই মিন, বস্তির ছেলেরা এরকম করলে বা বললে মানা যায়, তাই বলে একজন এয়ারফোর্সের সুশিক্ষিত পাইলট এই রকম ভাষা প্রয়োগ আর আচরণ কি করে করতে পারে! ভাই, থ্রিলার বইয়ের ভিলেনদের আচরণও এরচেয়ে মনোমুগ্ধকর হয়। তাদের ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ে যেতে ইচ্ছে করবে হয়তো কিন্তু মাহবুব ভাই নামের নায়ক নামের কলঙ্কস্য কলঙ্ক,একে ঘৃণা ছাড়া কোনও সুস্থ লোকের পক্ষে অন্য কিছু করা সম্ভব নয়। নিতুর মত বলদ মেয়ের জন্য করুণা ব্যতীত অন্য কিছু হওয়াও সম্ভব নয়। যখন তখন ভালোবাসার মানুষের শারীরিক অ্যাবিউজ, কথায় কথায় অপমানকর কথার তুবড়ি ছোটানো কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মেয়ের পক্ষে বোধকরি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নিতু গান্ধারীর মত দুই চোখ ঢেকে স্বেচ্ছায় অন্ধ থাকার মনোবাসনা পোষণ করে, এইজন্য মাহবুব ভাই তাকে এত অপমান করে, কথায় কথায় চাবুক ছুড়ে রীতিমত আঘাত করে সেটাও তার মনে সামান্য আফসোস বাদে অন্য দাগ কাটে না। একজন ব্যাতিত্ববান ছেলে কখনওই বলিউড হিরোয়িনের জন্য এরকম ছ্যাবলামো করে না। অথচ মাহবুব ভাইয়া এখানেও সবাইকে পিছনে ফেলে নায়িকা কারিনা কাপূরের প্রেমে ফিদা। শুধু তাই নয়, কারিনার একটি (তাও আবার ফ্লপ) থার্ডক্লাস সিনেমা ‘ম্যায় প্রেম কি দিওয়ানি হুঁ' দেখার জন্য বাচ্চাদের মত ব্যাখ্যতীত এক্সাইটমেন্ট দেখায়। নিতুকে আবার কারিনার সাথে যথারীতি তুলনা করে সে কারিনার পায়ের যোগ্য না বলেও অপমান করে আর বলদ মেয়েটা সেইটা নিয়েও ছেলেমানুষি মান অভিমান করে একটা বিয়েতে অবিকল কারিনার এই সিনেমার একটি গান ‘বানি বানি'র লেহেঙ্গার মত লেহেঙ্গা পরে সেজে যায় আর সেখানেও তার মাহবুব ভাইয়ের সাথে এই নিয়ে ব্যাপক ক্যাচালও হয়। মানে কি বলবো আর! ভাষা হারিয়ে ফেলছি। ক্রিঞ্জ অ্যাট ইট'স লেভেল ওয়ার্স্ট। এত ক্রিঞ্জি লেখা আমি লাইফে কমই পড়েছি। চটি বই কখনো পড়া হয়নি তবুও আমার ক্ষীণ সন্দেহ সেগুলিও এই বইয়ের চেয়ে মেবি কম ক্রিঞ্জিই হবে! এরকম আরও অসংখ্য বিষয় রয়েছে তুলে ধরার মত কিন্তু সেগুলো তুলে ধরতে গেলে পঞ্চাশ পৃষ্ঠার ছোটখাটো বই হয়ে যাবে। রিভিউ বলে যেটুকু বললে যথেষ্ট হয় মোটামুটি সেইটাই বলার চেষ্টা করেছি। লেখিকার লেখনশৈলী তত খারাপ নয়। তিনি চাইলে ভালো কিছু লিখতে পারেন, তার ভেতরে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার উপস্থাপনের ভঙ্গিটা মোটেই ভালো নয়, গল্প উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে উপস্থাপনা আরও আকর্ষণীয় আর সুন্দর হওয়া উচিত। এছাড়া, লেখার শেষে কিছু জায়গায় “হুহ”, “হাহ” এসব চোখে পড়ে যা বইয়ের লেখায় সংলাপ হিসেবে ঠিক আছে কিন্তু কাহিনী উপস্থাপন হিসেবে নয়। তিনি এসব কথা এমনিই লিখেছেন। যা খানিকটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। কিছু জায়গায় অযাচিত ইংরেজি কথা লিখেছেন, যেগুলো পড়তে তেমন একটা ভালো লাগেনা। তাছাড়া, গ্রামারের ভুলও আছে। যেমন ; আই হ্যাভ অলসো লেখা। অথচ, আই অলসো হ্যাভ কিংবা বাক্যের শেষে অলসো হলেই গ্রামাটিক্যালি কারেক্ট এবং শোভন দেখায়। এক জায়গায় লিখেছেন, অরেঞ্জ শাড়ি। এখানে মভ, টীল, কোরাল বা পিচ জাতীয় রঙ হলে ইংরেজিতে লেখাটা তেমন দৃষ্টিকটু লাগতো না। কিন্তু সাদা বাংলায় কমলা রংয়ের শাড়ি লেখাটাই বোধহয় সুন্দর দেখাতো। বইটা পড়ে মনে হয়, লেখিকা স্বাভাবিকভাবে যেভাবে কথোপকথনে অভ্যস্ত ঠিক তেমনটাই লেখাতেও প্রয়োগ করেছে। কিন্তু কথ্য আর লেখ্য ভাষা এক নয়, হওয়াও উচিত না। যাইহোক, আমি বরাবরই অকপট এবং শতভাগ অনেস্ট পাঠপ্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকি। তবে সেটাও চেষ্টা করি কম রূঢ়ভাবে উপস্থাপন করতে। জানিনা এই রিভিউতে তা কতটুকু করতে পেরেছি, কারণ মনের বিতৃষ্ণা আর হতাশা বেরিয়ে এসেছে অজান্তেই। ডিপ্রেশন কাটানোর জন্যই এই বই পড়ার জন্য বেছে নেয়া কিন্তু বইটাই আমাকে জায়গায় জায়গায় ডিপ্রেশনে ফেলে দিয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
"নিতুর মাহবুব ভাই" বইটির অরিজিনাল নাম মূলত নিতুর শাউয়োর ভাই। পুরো বই জুড়েই মাহবুব ব্রো নিতুর শাউয়ো নিয়েই টানাটানি করেছেন। নিতু একজন নিব্বি মেয়ে যার একমাত্র কাজ তার কাজিন মাহবুব ব্রোকে ভালোবাসা প্রদান করা। মাহবুব ব্রো যদি বলে "নিতু বসো।" নিতু এসে শুয়ে পড়ে ঈদের কোলাকুলি শুরু করে দিবে এমন দহরম-মহরমের ভালোবাসা মাহবুবের প্রতি নিতুর। মাহবুব ব্রো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বুঝায় সুশীল সমাজে সে একজন স্মার্ট হেডাসাম ছেলে যার কোন নারীর প্রতি একক ভালোবাসা নেই। তবে আমাদের নিব্বি নিতুর প্রতি তার আইসক্রিম শক্ত করা ভালোবাসা সব সময় বিদ্যমান থাকে। কোন এক ঝড়ের রাতে বক না মেরে মাহবুব ব্রো know know দিয়ে নিতুকে কেরামতি দেখিয়ে দেন। তারপর হুশে আসার পর বড় গলা দিয়ে বলেন, "নিতু তোর তো আলুর স্বভাব যার তার সাথে মিশে যাস।" একে তো রাতে মাহবুব ব্রো নিতুর খুলজা সিমসিম করে দিয়েছে তারপর এভাবে অপমান করায় নিতু কাঁদতে গিয়েও হাগতে ভুলে যাওয়ার দশা হয়। তাছাড়া মাহবুব ব্রো একজন অবিশ্বাসী মানুষ। যে নিতুর কূয়ায় উঁকি দিতে চায় কিন্তু নিতু বলে, "ভাইয়াটি কূয়ার জলে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয়েছে।" তবুও ব্রো বিশ্বাস না করে নিজেই কূয়ায় ঝাঁপ দিয়ে বলে, "শালার ঝাঁপের আগেই তুই সাপ মারার ঔষধ ছেড়ে দিলি।" নিতু ভেবে পায়না সব সময় যত দোষ নিতু ঘোষ হয়ে যায় কেন? ফাইনালি নিতু বুঝে মাহবুব ব্রো মূলত একজন চদির ভাই যে কখনোই ভালোবাসার ভাই হবেনা। তাই দেশ ছেড়ে সে বিদেশ চলে যায়... গল্পের উত্তেজনা এখানেই শেষ হয়।