User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
Fantastic
Was this review helpful to you?
or
Very nice book.This is an interesting story about a boy name bubun.His father is pscycologically imbalanced.His father lost when bubun was 2 year old.Sudennly one day he got his father,but he was not able to know them.But at last bubun and his friends has cured his father.
Was this review helpful to you?
or
বইটা হাতে পেয়ে , কিশোর উপন্যাসের সেই মজা, সেই সুখ পাওয়ার লোভ জেঁকে বসল । অনেক আশা নিয়ে পড়া শুরু করলাম । বইটা স্যারের চিরায়িত অন্য সব কিশোর উপন্যাসের মতই। গল্পের নাম বুবুনের বাবা হলেও গল্পটা কিন্তু বুবুনের। কিংবা বুবুনের বন্ধুদেরও। বুবুনে মা আর বুবুন নতুন যায়গায় আসে তার মায়ের চাকুরীর জন্য। বুবুনের বাবা নেই। নাহ মারা যাননি। কিংবা তার মা আর বুবুনকে ছেড়ে অন্য কারো কাছেও যাননি। বুবুনের বাবা, মাসুদ, হারিয়ে গিয়েছেন। বুবুন যখন অনেক ছোট ছিল বয়সে তখন বুবুনের বাবার মাথায় টিউমার ধরা পড়ে। তখন আস্তে আস্তে বুবুনের বাবা সব ভুলে যেতে লাগছিলেন। একসময় তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান এবং হারিয়ে যান। তারপর ১১ বছর ধরে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। নতুন যায়গায় এসে মানিয়ে নেওয়া বরাবরই ঝামেলার কাজ। আর যদি ইন্ট্রোভার্ট হন তাহলে তো আরো ঝামেলার। বুবুনেরও একই সমস্যা। কিন্তু এইবার বুবুনকে অবাক হয়ে হয় যে সে খুব সহজেই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারছে। ক্রেডিট যতটা না বুবুনের তারচেয়েও বেশী বুবুনের নতুন বন্ধুদের, সুমি, গাব্বু, পিয়াল। খুব দ্রুতই তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। আর নিত্যনতুন তারা মজার মজার ঘটনার জন্ম দিয়ে যায়। এর মাঝে একদিন হঠাত বুবুনের বাবা ফিরে আসলেন। ফিরে আসলেন বলা ভুল হবে তাকে ফিরিয়ে আনা হল। যদিও বুবুনকে নিয়ে তার কোন স্মৃতি মনে নেই। বুবুনের বন্ধুরা আর বুবুন মিলে বুবুনের বাবার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে নিত্যনতুন সব ঘটনা ঘটাতে লাগল। এর মাঝে উদয় হল রাজাকার খবিরউদ্দিন। কাহিনী এগোতে থাকল পড়ে খুব আনন্দ পেয়েছি তবু কেন যেনো মন ভরেনি । একটা অপূর্নতা রয়ে গেছে । হয়ত বয়স হয়ে গেছে নয়তো প্রত্যাশা একটু বেশিই ছিল।
Was this review helpful to you?
or
আমরা যারা মোটামুটি বইয়ের সাথে পরিচিত তাদের প্রায় সবারই শৈশব রাঙিয়ে দিয়েছে জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাসগুলো। তাঁর লেখা সেসব মাস্টারপিসের একটি হল "বুবুনের বাবা" বইটি। আমাদের, বিশেষ করে আমরা যারা গ্রামে ও মফস্বলে বড় হয়েছি তাদের শৈশব-কৈশোরের স্বর্ণালী দুরন্ত দিনগুলো দুর্দান্ত কুশীলতায় স্যার এঁকেছেন তাঁর অনেক বইয়ে; যার একটি বই "বুবুনের বাবা"। এই প্রজন্মের শিশু-কিশোর যারা কখনো গ্রামের স্বাদ নেয়নি তারা এই বই পড়ে আফসোস করবে কেন তাদের জন্ম কোন গ্রামে বা মফস্বলে হয়নি; আর আমরা যারা সেই সোনায় মোড়ানো শৈশব-কৈশোর পার করে এসেছি তারা সেইসব দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে আফসোস করব। তাই শুধু ছোটরাই নয়, বড়রা-ও নির্দ্বিধায় পড়তে এই অসাধারণ বইটি।বুবুন কিছু বলার আগেই আম্মা বললেন, "আসলে নাম দেওয়া উচিত ছিল বেবুন-" বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র বুবুন। বইটির শুরুতে দেখা যায় বুবুন তার মায়ের চাকরিসূত্রে একটা নতুন জায়গায় এসেছে। জায়গাটা একটা মফস্বল শহর। এই নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ায়ে নিতে বুবুনের প্রথম প্রথম সমস্যা হয়। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই সে সুমি, পিয়াল, গাব্বু নামের বেশ কয়েকজন ভালো ভালো বন্ধু পেয়ে যায়। কিন্তু গল্পের কাহিনী হঠাৎ করেই বেশ একটা নাটকীয় মোড় নেয়। জাহিদ এবারে না হেসে বুবুনের পিঠে হাত দিয়ে বললেন, "না না ডক্টর রওশান এটা আপনি ঠিক বললেন না। এরকম হ্যান্ডসাম একটা মানুষের আপনি নাম রাখবেন বেবুন?" বুবুন জাহিদ চাচার দিকে তাকাল, না মানুষটা ঠাট্টা করছে না সত্যি সত্যিই বলছে। সে ঠিকই ধরেছে, মানুষটা মনে হয় আসলেই ভাল।
Was this review helpful to you?
or
"আসলে নাম দেওয়া দরকার ছিল বেবুন-" নাহ। বুবুনের মা এটা ঠিক বললেন না। অস্থির দুষ্টু প্রকৃতির কেউ হলে নিশ্চিত যে তার নাম বেবুন হলেই বেশি মানাত। কিন্তু বুবুন তো খুব শান্ত আর নির্ঝঞ্ঝাট একটা ছেলে। দোষের মধ্যে দোষ এতটুকুই যে এখানে নোংরা কাপড় স্তুপ করে তো সেখানে কমিক, বৈজ্ঞানিক গবেষনা করে আগুন ধরায় বা চিউংগাম চিবিয়ে ফেলে রাখে বা চশমাটা হারিয়ে ফেলে। এরজন্য কি তাকে বেবুন বলবেন? আম্মার সবটাতেই বাড়াবাড়ি।।। এই যে নতুন বাড়িতে ঢুকেই বুবুনকে বকাবকি শুরু করে দিল বাইরে বের হওয়ার জন্য। কি আর করে বেচারা? বাইরে বেড়িয়েই দেখতে পেলে কতগুলো ছেলেপেলে এক জায়গায় বাশের মাথায় খবরের কাগজ পেচিয়ে আগুন লাগাচ্ছে। জিজ্ঞেস করে জানতে পারল বোলতার বাসা জ্বালাচ্ছে ওরা। ওরা মানে সুমি নামে লিডার মেয়েটা, গাব্বু নামের গাট্টাগোট্টা ছেলেটা আর পিয়াল নামের কম কথা বলা বৈজ্ঞানিক ছেলেটা। আস্তে আস্তে খুব ভাল বন্ধু হয়ে গেল ওরা বুবুনের। এরমধ্যেই একদিন বুবুনের হারিয়ে যাওয়া বাবার খোঁজ পাওয়া গেল। স্মৃতি হারিয়ে ছোট বাচ্চার মতো হয়ে গেছেন আব্বা। শুধু বুবনের কথা একটু একটু মনে আছে। আম্মা আর বুবুন গিয়ে তার বাবাকে তাদের কাছে নিয়ে আসলেন। এদিকে আম্মার মেয়েদের স্কুলেও নানা সমস্যা হতে লাগল। খবিরউদ্দিন আর তার দলবল নানা যন্ত্রণা শুরু করল। মেয়েদের স্কুল পুড়িয়ে দেয়া, মেয়ে স্কুলে গেলে কাফের বলে ফতোয়া দেয়া, এরকম কত ভন্ডামি যে করছে বলে শেষ করা যাবে না। আম্মাকে পর্যন্ত হুমকি দিয়েছে শয়তানটা। এরকয়েকদিন পরেই কারা যেন বুবুনের আব্বাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়। চিঠি পাঠায় এই ঘটনা জানাজানি হলে আব্বাকে মেরে ফেলবে? এখন কি করবে বুবুন? কি করে তার আব্বাকে উদ্ধার করবে? আমার কথাঃ আমরা যারা খুব ছোটবেলা থেকেই বই পড়ি বা বইয়ের সাথে যোগাযোগ আছে তাদের শৈশব অনেকটাই রাঙিয়ে দিয়েছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাসগুলো। তার সেই অসাধারণ লেখার উল্লেখযোগ্য একটা লেখা হল “বুবুনের বাবা”। বিশেষ করে যারা মফস্বল আর শহরতলীতে বড় হয়েছি তারা তো এই লেখা গুলোর মতই বর্ণীল আর স্বপ্নময় সময় পার করে এসেছি। এ যুগের ছেলেমেয়েরা কতজন বুঝবে ধানখেত চষে বেড়ানোর মজা বা পুকুরে ঝাপাঝাপি করার আনন্দ। তবুও যেন এ লেখাগুলো পড়ে কিছুটা সেই দিনগুলো মনে করা যায়। তাই ছেলে বুড়ো সবার উপভোগ করার মত একটা কিশোর উপন্যাস “বুবুনের বাবা”। আপনি পরেছেন তো??? হ্যাপি রিডিং।।।
Was this review helpful to you?
or
“বুবুনের বাবা” স্যার জাফর ইকবালের রচিত অসাধারন একটি কিশোর উপন্যাস।অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর এই উপন্যাসটি পড়ে মনে হয়েছে যেন আমি নিজেই এই বইটির মধ্যে আছি।স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল অনেক সুন্দর ভাবে বইটির কাহিনী বিন্যাস করেছেন।বইটির প্রধান চরিত্রের নাম হল বুবুন যার বাব অনেকদিন আগে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় হারিয়ে গিয়েছিলেন।তার মা একজন চাকরিজীবী,হঠাত তার মায়ের পোস্টিং পরিবর্তন হয়ে একতি মফস্বল এলাকায় পরে।নতুন জায়গায় নিজেকে খাপ খায়িয়ে নিতে অনেক কষ্টকরতে হয়। সেখানে বুবুনের নতুন কিছু বন্ধু হয়।কিন্তু কাহিনীর মোড় পাল্টে যায় বুবুনের বাবা ফিরে আশাতে।বুবুনের বাবার আচরন বাচ্চা ছেলেদের মত হয়ে গেছে।ডাক্তার দেখানো হলে বলা হয় বুবুনের বাবা হঠাত করেই কোন ঘটনার কারনে সুস্থ হয়ে যেতে পারেন।বুবুন ও তার বন্ধুরা মিলে তার বাবকে সুস্থ করতে নানা রকম চেষ্টা করতে থাকে।প্রতিবারই তারা বিফলে যান। এদিকে বুবুনের মা গ্রামে মেয়েদের শিক্ষার উপর জোর দিলে গ্রামের কিছু খারাপ লোক যারা মুক্তিযুদ্দের সময় রাজাকার ছিল তাদের রোষানলে পড়েন।তারা বুবুনের মাকে অনেক ভাবে ভয় দেখাতে থাকে।অবশেষে তারা বুবুনকে কিডন্যাপ করেন।বুবুনের বন্ধুরা মিলে বুবুনকে বাচাতে রাজাকারদের আস্তানায় যায় সাথে বুবুনের বাবাও।অবশেষে নান নাটকীয়তার সৃষ্টি করে উপন্যাসটি শেষ হয়।বলতে গেলে অনেক সুন্দর লেগেছে পড়তে বইটি।কিশোরদের জন্য আনন্দের খোরাক হতে পারে বইটি।পাঠকরা স্যারের বই যারা পড়তে ভালবাসেন তারা অবশ্যই মিস করবেন না।
Was this review helpful to you?
or
বইটি ১৯৯৭ সালে কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটি একটি কিশোর উপন্যাস। জাফর ইকবাল স্যারের সহজ বর্ণনাভঙ্গির কারণে পাঠক কখন নিজের অজান্তেই বইয়ের চরিত্রগুলোর সাথে মিশে যাবেন তা টেরও পাবেন না। এই বইটি পড়তে গিয়ে পাঠক অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ যেমন পাবেন, তেমনি নিখাদ আনন্দও পাবেন। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র বুবুন। বইটির শুরুতে দেখা যায় বুবুন তার মায়ের চাকরিসূত্রে একটা নতুন জায়গায় এসেছে। জায়গাটা একটা মফস্বল শহর। এই নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ায়ে নিতে বুবুনের প্রথম প্রথম সমস্যা হয়। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই সে সুমি, পিয়াল, গাব্বু নামের বেশ কয়েকজন ভালো ভালো বন্ধু পেয়ে যায়। কিন্তু গল্পের কাহিনী হঠাৎ করেই বেশ একটা নাটকীয় মোড় নেয়। বুবুনেরা হঠাৎ জানতে পারে বুবুনের বাবা বেঁচে আছেন। বুবুনের বাবা অনেকদিন আগে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় হারিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা হল, বুবুনের বাবার সব আচরণ শিশুদের মত হয়ে গেছে। তারপর বুবুনের বাবা বুবুনদের বাসায় আসেন। আর ডাক্তার বলেন যে, হঠাৎ করে আকস্মিক কোন ঘটনায় বুবুনের বাবা সুস্থতা ফিরে পেতে পারেন। তখন বুবুন আর তার বন্ধুদের নানারকম চেষ্টা শুরু হয় বুবুনের বাবাকে সুস্থ করে তোলার জন্যে। তারা একবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করে, আরেকবার নিজেরাই ভূত সেজে বুবুনের বাবাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের সব পরিকল্পনাই মাঠে মারা যায়। এদিকে মফস্বল শহরে বুবুনের মা মেয়েদের শিক্ষার জন্যে নানারকম কাজ করতে থাকেন। তাই তার উপর একদল লোক যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তারা খুব খেপে যায়। তারা বুবুনের মাকে এলাকাছাড়া করার জন্যে নানারকম চেষ্টা করতে থাকেন। শেষ চেষ্টা হিসেবে তারা বুবুনকে কিডন্যাপ করে। তখনই মূল অ্যাডভেঞ্চার শুরু হয়। বুবুনকে বাঁচাতে সুমি, পিয়াল আর গাব্বু রাজাকারদের আস্তানায় যায়। কিন্তু তারা কি পারবে ভয়ংকর রাজাকারদের হাত থেকে বুবুনকে উদ্ধার করতে? আর বুবুনের বাবার কী হবে? তিনি কি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন না? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে পাঠককে অসাধারণ রোমাঞ্চে ভরা এই উপন্যাসটি পড়তে হবে। জাফর ইকবাল স্যারের অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মত এই উপন্যাসটিও সবার ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস। আশা করি সবাই পড়বেন।