User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
কিঙ্কর আহসানের অনবদ্য লেখনীর আরেকটা প্রকাশ। নগ্ন বাস্তবতাকে উপজীব্য করে লেখা এমন সাবলীল উপন্যাস খুব বেশি পাওয়া যায় না। লেখকের আরেকটি বিষয় আমার ভালো লাগে তা হলো প্রাঞ্জল বর্ণনা। কিছু কিছু জায়গায় মনে হয়েছে এভাবে না হয়ে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন কিছু হতেও পারতো। তবে আমি সেটিকে লেখকের দোষ হিসেবে একদমই দেখছি না। সর্বোপরি, আমার ভালো লেগেছে।
Was this review helpful to you?
or
১৪২ পৃষ্ঠার বই, দুই ঘন্টার ব্যাপার। খুব বেশি হলে আড়াই ঘন্টা। কিন্তু পাক্কা দুই দিন লেগেছে পড়তে। হুমায়ূন হুমায়ূন গন্ধের সাথে সেলিনা হোসেনের মতো ছোট ছোট বাক্যে লেখা উপন্যাসটা পড়ে প্রথম প্রথম ভালোই লাগছিল। পরে শুধুমাত্র বিরক্ত হয়েছি। এতটা আবেগ নিয়ে লেখা উপন্যাস পড়া একইসাথে বিরক্তিকর এবং কষ্টকর কাজ। উপন্যাসটা শুরু হয়েছে একটা খুন দিয়ে। আসলে প্রকৃত অর্থে খুন না, তবে খুন নান্ দ্য লেস্। চারজন চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে তৃতীয় পুরুষে লেখা উপন্যাসটি, প্রতিনিধিত্ব করে তারা সমাজের তিন শ্রেণীর মানুষকে— উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত। জামিল সাহেব। দুই সন্তানের পিতা, অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক, কিন্তু মানসিক অস্থিরতায় ভোগেন। অর্থের প্রতি মোহ তার নৈতিকতাকে ‘মদ খাইয়ে দিয়েছে’। ? শাফিন। আর্কিটেকচার ইন্জিনিয়ার। বাবা-মা-বোনের সংসারের আশার আলো। গার্লফ্রেন্ড আছে একজন, বাস্তববাদী চরিত্রের গার্লফ্রেন্ড। যশোধর। বিরক্তিকর স্বভাবের ঢাকবাদক। বাস্তবের থেকে স্বপ্নে দিন কাটাতে পছন্দ করেন। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য সে বিবাহিত এবং এক কন্যার জনক। আর আমার সবচেয়ে প্রিয় (!) চরিত্র, সামির। বড়লোকের আবেগি ‘ভদ্র’ ছেলে, উপরে যেই জামাল সাহেবের কথা বললাম নাহ? ওই জামাল সাহেবেরই একমাত্র ছেলে। শারীরিকভাবে টিনএজ পার করলেও মানসিকভাবে টিনেজারদের থেকেও খারাপ। নিজের পরিবারের দৌড় সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। পৃথিবীর বাস্তব জ্ঞান তো দূরের কথা, জানেও না ‘উহা’ খায় না শরীরের অন্যত্র দেয়। জীবন যে উপন্যাসের পাতা নয়, সেইটা বেচারা এখনো বুঝতে পারে নি। আর এতো গুলো চরিত্রকে এক সূত্রে বেঁধে রেখেছে অর্থ-ক্ষমতা। অর্থের দাপট, মানসিক অশান্তি, আশা-ভালোবাসা, বোকামি, সরলতা সব মিলিয়েই এই উপন্যাস। ভালো করে ফুটিয়ে তুলতে পারলে অসাধারণ উপন্যাস হতে পারত। কিন্তু লেখক এক্ষেত্রে ভয়ঙ্করভাবে ব্যর্থ। একই অনুচ্ছেদে একই বাক্যের পুনঃ পুনঃ ব্যবহার, অদ্ভুত এবং হাস্যকর সমার্থক-বিপরীতার্থক শব্দের প্রয়োগ, মূর্ছা যাওয়ার মতো লিঙ্গ পরিবর্তন (উদাঃ– মানুষ-মানুষী) আর সকল চরিত্রে সমান গভীরতা আনার ব্যর্থতা উপন্যাসের অন্যতম উইক পয়েন্ট। সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে লেখনীও অসাধারণ হতো, কিন্তু এক্ষেত্রে এতো সুন্দর লেখার ধরন হাস্যকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এক লাইনে ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সব লেখকের থাকে না। কিঙ্কর আহ্সানের আছে। উপন্যাসের শেষ লাইন দ্রষ্টব্য হতে পারে— ‘কান্না। দুঃখ। কান্না। কান্না। দুঃখ। কান্না। কান্না। দুঃখ। কান্না। দুঃখ....।’ এটা আক্ষরিক অর্থেই উপন্যাসের শেষ লাইন। এখন বুঝতে পারছেন স্যাটেলাইট কেন পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়? ?
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_রিভিউ_প্রতিযগ_নভেম্বর বইঃ রাজতন্ত্র লেখকঃ কিঙ্কর আহসান বইয়ের ধরণঃ সমকালীন উপন্যাস প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০১৮ প্রকাশনীঃ বর্ষাদুপুর পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৪২ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৭০ টাকা প্রচ্ছদঃ মেহেদি হাসা #গুরুত্বপূর্ণ_চরিত্রসমুহঃ শাফিন, সামির, জলিল সাহেব, যশোরথ, মালা, নাসরিন, খসরু চাচা #কাহিনী_সংক্ষেপঃ একটি খুন, যার মধ্য দিয়ে শুরু হয় কাহিনীটি। খুন হয় নাসরিন, বহু পুরুষের চাহিদা মেটানো এই ধনী মহিলা বহুবার আনন্দ দিয়েছে, চাহিদা মিটিয়েছে জলিল সাহেবের। দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জলিল সাহেব এই জলিল সাহেবের স্ত্রী সহজ সরল সাধারণ মহিলা। যিনি স্বামীর কোনো কাজে বাধা দেন না, কোনো অভিযোগ করেন না। আর তাদের ছেলে সামির। যে সবসময় নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করে। নিজের বাবার ব্যবসা-সম্পত্তির প্রতি তার লোভ নেই, বাঁচতে চায় যে সাধারণ মানুষের মতো। কিন্তু এই বিষয়টা জলিল সাহেবের পছন্দ নয়, ব্যবসা-বানিজ্য দেখাশুনা করা, অফিসের দায়িত্ব নেয়ার কাজেরে জন্য উৎসাহ দেন ছেলেকে। বাইরে ভালোমানুষ এবং জনদরদি হলেও জলিল সাহেবের ভেতরে রয়েছে অন্য রূপ। লোভ, হিংসা, খুন, বিভিন্ন নারীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদির সংমিশ্রণ রয়েছে তার মধ্যে। ওদিকে নাসরিনকে খুন করে পালিয়ে বেড়ায় শাফিন। এভাবে সে পৌছায় যশোরথের কাছে। যশোরথও ঘটনাক্রমে জড়িয়ে যায় শাফিনের সাথে। পরিবার সহ পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে শাফিনের সাথে। আর নাসরিনের এই খুনের ঘটনার পরে জলিল সাহেবের সাথে তার গোপন সম্পরকের কথা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেক টাকা খরচ করেও বিষয়টা ধামাচাপা দিতে পারেননি। এরপরে নিজের খাস লোক খসরুকে জলিল সাহেব পাঠান শাফিনকে খুঁজে ধরে আনার জন্য। কিন্তু তখনই বেরিয়ে আসে আরেক সত্য। নাসরিনকে শাফিন খুন করেনি। আর এই খুন করা, মিডিয়ায় খবর প্রকাশ করা ইত্যাদি করেছে অন্য কেউ। কিন্তু কে সে? কিসের জন্য জলিল সাহেবের গোপন তথ্য ফাঁস করল সে ? আর কেনই বা নাসরিনকে খুন করলো? উত্তর রয়েছে ‘রাজতন্ত্র’ বইটিতে। #পাঠ_প্রতিক্রিয়া_এবং_মতামতঃ #যেগুলো_ভালো_লেগেছেঃ বইটির ভালো লাগা দিকগুলোর মধ্যে প্রথম জিনিস হলো এটির প্রচ্ছদ। ভীষণ সুন্দর এই প্রচ্ছদটি যেকোনো পাঠকের নজর কাড়তে যথেষ্ট। এটি আমার পছন্দের প্রচ্ছদগুলোর মধ্যে ৩ নম্বরে আছে। লেখার ধরণ ভালো লেগেছে। বর্ণনাও ভালো লেগেছে। তবে সবথেকে ভালো লেগেছে শেষটা। শেষটা খুবই ভালো লেগেছে এবং মন ছুঁয়ে গেছে। এছাড়াও খাদ্যের বর্ণনা যে সুন্দরভাবে দেয়া হয়েছে সেটা সত্যিই চমৎকার। হয়তো খেতে ভালোবাসি বলেই এই জিনিসটা নিজের আমার নিজের কাছে বেশি ভালো লেগেছে, আর শেষ টা সত্যি মনে দাগ কেটে গেছে #যেগুলো_ভালো_লাগেনিঃ বইটির কাহিনী খুব স্লো ছিলো। ১৪২ পৃষ্ঠার বইয়ের ১০০ পৃষ্ঠা পর্যন্তই কাহিনী স্লো লেগেছে। আর কিছু জায়গায় এডাল্ট বর্ণনাগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। মানে সেগুলো না থাকলেও চলতো (ব্যক্তিগত মতামত)।
Was this review helpful to you?
or
favourite
Was this review helpful to you?
or
বই: রাজতন্ত্র লেখক: কিঙ্কর আহসান প্রকাশনী: বর্ষাদুপুর প্রচ্ছদ: মেহেদি হাসান ঘরানা: সমকালীন উপন্যাস প্রকাশকাল: বইমেলা ২০১৮ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪২ মুদ্রিত মূল্য: ২৭০৳ কাহিনী সংক্ষেপ: ক্ষমতা, প্রতিপত্তি, নামযশ, ক্ষ্যাতির পিছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত মানুষ। তবু যেন তাদের চাহিদার শেষ নেই। যত পাই তত চাই, হাত খালি হবার অাগে পূর্ণ হওয়া চাই। এসবের মাঝেও কেউ কেউ চায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, পরিবারের জন্য একটু সময়। কিন্তু সম্পদের লোভ ভালোবাসাকে কালো পর্দায় ঢেকে রাখে। নাসরিন রহমান নামে এক অপরূপা সুন্দরী খুন হয়েছে, মিডিয়ার লোক তোলপার করে চলছে কাকের মতো নোংরা ছিটানোর জন্য, প্রভাবশালী জলিল সাহেবের তেমনই ধারনা। গোপন প্রেম অার গোপন থাকতে চায় না। জলিল সাহেব জানেন টাকার কাছে সব তুচ্ছ, খালি খালি তো অার তিনি টাকার পিছনে ছুটেন নাই এতদিন। কিন্তু টাকাও বুঝি এবার কথা শুনছে না। পাবলিক ইমেজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অার সে সুযোগটাই ভোগ করছে তার প্রতিদ্বন্দীরা। অন্যদিকে নব্য অার্কিটেক্সার সাফিন, নাসরিন রহমানের খুনের দায়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পলাতক জীবনে দেখা হয় যশোরথের সাথে। না চাইলেও মাকড়সার জালের মতো বিছানো জালে অাটকে যেতে হয় যশোরথের মতো অালভোলা মানুষকে। শিল্পি মানুষ সহজ সরল জীবন তার তাই এতোসব মারপ্যাঁচ তিনি বুঝেন না। জীবন থেকে পালিয়ে বেড়ানো শাফিনও একসময় ভুলে যায় মৃত্যু ভয়, যশোরথের মেয়ে মালার প্রেমে নিজেকে হারিয়ে ফেলে। কিন্তু বহমান সময় ততদিনে অন্যদিকে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে মালার জীবনের। সংসারের প্রতি বাবার উদাসীনতা, মায়ের একাকীত্ব, অাবার খুনের সংক্রান্তে ফেঁসে যাওয়া বাবার জন্য ভাবনা হয় সামিরের। বাবার অাদেশ অমান্য করতে পারে না সে। তাই না চাইলেও বাবার পাশে থাকতে হয় দেখতে হয় ব্যবসায়িক কাজ। জানতে পারে অচেনা এক পৃথিবীকে। বিপদের সময় পরিবার হয় ভরসা কিন্তু স্বভাবে শান্ত চরিত্রের স্ত্রী নামজার সব কিছুতেই যেন শীতলতা কোনকিছু তাকে খুব স্পর্শ করে না। ছেলে সামিরও পেয়েছে মায়ের স্বভাব তাই তাকেও ভরসা করতে পারেন না তিনি। মেয়েটা তার মতো হলেও সে তার জগতেই ব্যস্ত। এত কিছু থাকার পরেও যেন কিছু নেই জলিল সাহেবের। তবে তিনি জানেন কী করে এ রহস্যজাল থেকে বের হওয়া যাবে। বিপত্তি বাধে কেবল নিজের খাস লোক খসরুর বিশ্বাস ঘাতকতা। অার তখনই জানতে একের পর এক গোপন তথ্য ফাঁস হবার পিছনে কলকাঠি নাড়া লোকের সন্ধান। সামাজিক এ থ্রিলার জানতে অাপনেকেও পড়তে হবে রাজতন্ত্র। নিজস্ব মতামত: সমাজের উচু মহলের গল্প, বিত্তহীন মানুষের সম্পর্কের গল্প কিংবা নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার গল্প রাজতন্ত্র। বাইরের পৃথিবীর অালো থেকে অাড়াল করা সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের গল্প নিয়েই মূলত সাজানো রাজতন্ত্র। প্রথম দিকে গল্পের শুরুটা যেমন অাকর্ষণীয় ছিল শেষ পর্যন্ত সে অাকর্ষণ অার বজায় ছিল না। বর্ননার বাহুল্যতা তার একটা কারন হতে পারে। বর্তামানে অনেকেই পৃষ্ঠা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। অথচ বই অাকারে বড় না করে মানে বড় করার মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার তাদের। সব মিলিয়ে মোটামোটি ছিল।
Was this review helpful to you?
or
লেখক আমার পরিচিত। পরিচিত লেখকের বই যখন আমি পরিচিত সমালোচক পড়ি, তখন মাথার মধ্যে সেট হয়ে থাকা বাক্য হল-জঘন্য হয়েছে লেখাটা। সেই জঘন্য থেকে বইটা কতটুকু ভালোতে যেতে পারে-সেটাই ছিল কথা। প্রথম ১৪ পৃষ্ঠা পড়ে মনে হল-ধুর এটা কোন ছোট গল্প হল। জাত নাই পাত নাই। আবেগ নাই, ইমোশন নাই। পরে পড়ে দেখি, না ইহা একটি উপন্যাস। ১০৪ পৃষ্ঠা পড়লাম দিনে দিনেই। আপাতত খুত ধরছিনা। ঠুস করেই চলে এসেছি। কাহিনী ভালোই জমেছে। তবে সামিরের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ এর শুভ্র শুভ্র একটা ভাব আছে, আছে কিনা ঠিক ধরতে পারছিনা। প্রচ্ছদ টা অমানুষিক সুন্দর। একটা রাজ রাজ ভাব আছে। তবে ভাগ্যিস বইটা কিঙ্কর আহসান লিখেছেন, নাহলে চেতন ভগবত লিখলে, শেষে এসে সিনেমা বানিয়ে ফেলতেন। স্পয়লার বাদ থাক। কাহিনী বা গল্প চিত্রন অসাধারন বলবো না। মোটামুটি লেগেছে। তবে তাহলে গত বছরের দেখাদেখি এই বছরেও কিনলাম কেন? চাপে চাপে। গত বছরে একজন কে এই লেখকের বই দিয়ে অনেক লাইক পাওয়া গিয়েছিল। এই বছরে ও একই লেখকের বই তাকে দেয়া হয়েছে। লেখক অন্য লেখকের থেকে কিছুটা ভিন্নতা ধরে রেখেছেন। সামনে উত্তরোত্তর উন্নতি হবে আশা রাখছি।