User login
Sing In with your email
Send
Our Price:
Regular Price:
Shipping:Tk. 50
প্রিয় ,
সেদিন আপনার কার্টে কিছু বই রেখে কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন।
মিলিয়ে দেখুন তো বইগুলো ঠিক আছে কিনা?
Share your query and ideas with us!
Was this review helpful to you?
or
চমৎকার একটি হরর থ্রিলার। পুরো সময়টা বুঁদ হয়ে ছিলাম। খুব সুন্দর একটা pace এ কাহিনী এগিয়ে নিয়েছেন লেখক। তাঁর আগের একটি থ্রিলার পড়েছিলাম,যেটায় তাড়াহুড়োর ভাব ছিল স্পষ্ট কিন্তু এটাতে তার বিন্দুমাত্রও পাই নি। একই সাথে এটাকে সাইকোলজিক্যাল,থ্রিলার,হরর সব ই বলা যায়৷ খুব ই সুখপাঠ্য বই,লেখকের জন্য শুভকামনা।
Was this review helpful to you?
or
Great!
Was this review helpful to you?
or
বাংলাদেশের যে কয়টি মৌলিক থ্রিলার বর্তমানে থ্রিলারপ্রেমী পাঠককূলের মনে সাড়া জাগিয়েছে তার মধ্যে 'শ্বাপদ সনে' উল্লেখযোগ্য । কয়েকদিন আগেই কলেজ স্ট্রিটের ‛অভিযান পাবলিশার্স’ থেকে সংগ্রহ করেছিলাম বহু চর্চিত এই বইটি । শুরুর দৃশ্যটিই এমনভাবে বর্ণনা করা হয়েছে, পড়তে পড়তে মনে হতেই পারে যে আপনি স্বয়ং ঐ দৃশ্যে উপস্থিত আছেন । ঘন ভূট্টা খেতের মাঝখানে রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে আছে গল্পের নায়ক জামশেদ, মাথার ওপর প্রখর রোদ, দরদর করে ঘামছে সে, প্রতি মূহুর্তে ভয়ংকর কোনো অঘটনের অপেক্ষা । বইটির শুরু থেকেই কয়েকটি সিকোয়েন্স পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে সমান গতিতে । গল্পের নায়ক জামশেদ বাংলাদেশের একজন ধনী ব্যবসায়ীর একমাত্র পুত্র , সাফ গেমসে সোনা-জয়ী শ্যুটার, প্রচণ্ড রাগী - একরোখা - বদমেজাজী । দুর্ঘটনায় বাবাকে হারানোর পর একেবারেই ছন্নছাড়া হয়ে ওঠে তার জীবন । বেশ কিছুদিন ধরেই অদ্ভূত সব স্বপ্ন এবং হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত হতে থাকে সে। এইসময় হঠাৎই এক ঝামেলায় জড়িয়ে গিয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য গা-ঢাকা দিতে হয় প্রত্যন্ত এক গ্রামে । সাথে তার ভাই সামাদ এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু শিপলু, যে কিনা একজন ‛প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর’ । শিপলু এই গ্রামে এসেছে একটি প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেশনে । একের পর এক গ্রামবাসী বীভৎস ভাবে খুন হচ্ছে অজানা কোনোকিছুর হাতে । এটা কি সেই কিংবদন্তী শ্বাপদ, যা গ্রামের পাশের রহস্যময় জঙ্গলে বাস করছে কয়েক শত বছর ধরে? সত্যিই কি শ্বাপদ আছে? নাকি মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে শ্বাপর? রাইফেল হাতে শ্বাপদের পিছু নিয়ে জঙ্গলের ভেতরের পুরোনো মন্দিরে কার মুখোমুখি হলো জামশেদ? বইটিতে শিপলুর প্যারানর্মাল কেস স্টাডি গুলি বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে, ভালো রকম ভয়ের আবহ সৃষ্টি হয়েছে প্রতিটি ঘটনার বর্ণনাতে । এই বইয়ের অন্যতম ভালোলাগার বিষয়বস্তু হলো দৃশ্যপট বর্ণনার বিবরণ। প্রতিটি ঘটনার সুন্দর ব্যাখ্যা আছে, যা এককথায় অনবদ্য। সবশেষে বলি , “সয়না জ্বালা, তুমি বিনে চইল্লাম আমি শ্বাপদ সনে।”
Was this review helpful to you?
or
বইয়ের নাম- শ্বাপদ সনে লেখক- নাবিল মুহতাসিম প্রকাশক-বাতিঘর প্রকাশনী ধরণ- হরর থ্রিলার পৃষ্ঠা সংখ্যা-২০৬ ৫ বছর আগে, ১৯৮৮ এর সাফ গেমস এর সোনাজয়ী শুটার জামশেদ যার বাবা দেশের নামকরা শীর্ষ দশ ধনীর একজন। কিন্তু দুর্ঘটনায় বাবার মৃত্যুতে বেশ একা হয়ে পড়ে সে। এমন সময় গার্লফ্রেন্ড ও তার একশ এর সাথে ঝামেলা হয়। ওকে মারা জন্য সুপারি দেয়া হয় এক সন্ত্রাসী কে। কিন্তু সেই আক্রমণের সময় ভয়াবহ গোলাগুলি হয়। যেখানে জামশেদ ও তার প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধু বাদে সবাই নিহত হয়। খুনের দ্বায় এড়াতে এক গণ্ডগ্রামে যায় তারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরেক কাহিনী। অজানা এক প্রাণীর আক্রমণে গ্রামের ৪ জন মানুষ ইতোমধ্যে খুন। প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধু শিপলু ও জেঠাতো ভাইকে নিয়ে রহস্য সমাধানে নামে জামশেদ। তারপর……… পাঠ পতিক্রিয়া- হরর বই খুব কমই পড়া হয়েছে আমার। কেন যেন টানে না আমাকে এই জনরার বই। কিন্তু সে তুলনায় এটা বেশ ভালোই লেগেছে। সত্যি বলতে মৌলিক থ্রিলারগুলো আমার বরাবরই ভালো লাগে। কেমন যেন আপন আপন মনে হয়। বইয়ের শেষে লেখক কেমন যেন একটা অনিশ্চয়তা রেখেছেন। পাঠককের ভাবার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাতে। এ গল্পের ভেতরে বেশ কয়েকটা ভৌতিক গল্প পাওয়া যায়। প্রথমে আপনার মনে হবে এগুলা কেন লিখেছে। একটা সময় বিরক্তভাবও আসবে। মনে হবে এগুলোর সাথে কাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রিয় পাঠক ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। খুব দারুণ কিছুই অপেক্ষা করবে আপনার জন্য।
Was this review helpful to you?
or
শ্বাপদ সনে . কাহিনি সংক্ষেপ নামকরা শিল্পপতির একমাত্র সন্তান জামশেদ। তার উপরে আবার বাংলাদেশ খ্যাত অ্যাথলেট। ঘটনাক্রমে এক সন্ত্রাসী দলের সাথে টক্কর লাগে তার। সেই টক্করে অনেকগুলো লোক মারা যায়। ভয় পেয়ে খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর সাথে এক অজপাড়াগাঁয়ে এলো জামশেদ। গা ঢাকা দিয়ে বাঁচতে চাইলো। কিন্তু পালিয়ে বাঁচতে তো পারলোই না, ওই গ্রামে গিয়ে আরো বড় বিপদে পড়ে গেল সে । গ্রামের বেশ কিছু মানুষ অজানা কোনো উপায়ে খুন হচ্ছে। ব্যাখ্যার অতীত কোন উপায়। এই গ্রামে একটা শতবছরের পুরোনো কিংবদন্তি আছে। গ্রামের লোকদের মুখেমুখে ঘুরে বেড়ায় সেই কিংবদন্তি। গ্রামের পাশের রহস্যময় জঙ্গলে নাকি ভয়ঙ্কর এক শ্বাপদ বাস করছে। জামশেদের প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধু ভাবছে, কিংবদন্তির এই শ্বাপদইই খুন করছে লোকগুলোকে। কিন্তু জামশেদের মনে হচ্ছে সবছিুর ব্যাখ্যা আরো জটিল। নিরুপায় হয়ে জঙ্গলের ভেতরের পুরনো মন্দিরের দিকে পা বাড়ালো সে। যে মন্দিরে কারোর যাওয়ার সাহস হয় না। অপার্থিব শ্বাপদের, নাকি সেই অসীম ক্ষমতাধরের, যে অন্ধকার জগতের রাজপুত্র, অমরত্বের চাবি যার হাতের মুঠোয়, লৌকিক পৃথিবীর অলৌকিক অধিশ্বর হয়ে উঠতে যার দরকার আর মাত্র একটা ঘটনা ঘটবার। . পাঠ প্রতিক্রিয়া . হরর গল্প! নামেই বুঝা যায় ভয় ভয় লাগার মত। আর ইদানিং এমনিতেই ভয়ে ভয়ে থাকতাম - তাই এতদিন পরে থাকার পরও ধরিনি। কী ভেবে যেন শুরু করলাম - যাই হোক, ভয়ই তো পাব তেমন কিছু তো আর না। . গভীর রাতে পড়তে শুরু করলাম। প্রকৃতি নিরব একদম। সামান্য শব্দও কানে লাগছিল। এর মাঝেই পড়ছিলাম। হাজার হোক - দিনের আলোতে হরর পড়ে মজা পাওয়া যাবে না। . পড়ছি ভাল হরর ফিল নিয়েই। টিনের চালে বড়ই একটা একটা পড়ছে আর রাতের নীরবতায় পিলে চমকাইছে, চিকার দল দরজায় নক করছে, আমারে আজীবনের শত্রু কুকুর ঘোড়ার স্পিডে দৌড়াছে পাশের রাস্তায় আর ঘেউ ঘেউ করছে - ষোল কলা পূর্ণ করতে কারেন্টও গেছে এর মাঝে। ঠিক ঐ সময় যখন আবার বইয়ে বর্ণিত অদ্ভুত প্রাণীর বিবরণ পড়তেছিলাম। . মিথ্যা বলব না - গল্পের আসল বিষয়বস্তুর মত আমিও বেশ হ্যালুসিনেটেড হইছি ঐসময়। দানবগুলোকে যে চোখের সামনে দেখি নাই তা অস্বীকার করলে অনেক বড় মিথ্যা বলা হয়ে যাবে। . যাই হোক - হরর গল্প পড়তে প্রকৃতি এমন পরিবেশ সাপ্লাই দিলে তো হরর লেখক স্বার্থক। . এখন আসি গল্পের ব্যাপারে। মাথায় গিট্টু লাগার সম্ভাবনা ছিল। এমন লাস্ট হইছে 'ইনসেপশন' দেখার সময়। কখন কী হইতেছে বুঝতে বুঝতে অন্য কাহিনীর শুরু। সত্যি কথা বলতে - এই উপন্যাসটা হরর মুভিতে কনভার্ট করলে ঐ নোলানকেই লাগবে প্যাচ সেট করতে। বেশ কয়েক জায়গায় ব্রিলিয়ান্ট চিন্তার ছাপ দেখলাম। যেমন - গল্পের শুরু একবার বইয়ের শুরুতে, আবার গল্পের শুরু বইয়ের মাঝে, আর আবার গল্পের শুরু বইয়ের একদম শেষেও। নোলানের মুভির সাথে মিলাইছি যখন - তখন এইটাও বলি, বইটাও সামনে আগাইতে আগাইতে মাঝে মাঝে পিছে ফিরে আসতে হয় - ঠিক যেমন নোলানের মুভি দেখলে মনে হয়। . কাহিনীর হিসাবে বলব - এমন থ্রিলার পড়তে যে কোন থ্রিলার পাঠকের কাছেই অনন্য। হুটহাট ধুপধাপ চমক থাকলে তো কিছু করার নাই। . তবে নেগেটিভ একটা দিক বলব, যেইটা আমার মনে হয়েছে - গল্পটাকে পুরোটাই উত্তম পুরুষে লেখা হয়েছে। এইটা না করে নাম পুরুষে লেখাটাই ভাল ছিল। কিছু কিছু জায়গা বুঝতে সুবিধা হত। যদিও শেষে গিয়ে পুরোটাই ক্লিয়ার হয়ে যায় - কিন্তু পড়ার সময়ে কিছুটা অস্বচ্ছ মনে হয়েছে। (এইটুকই - এর বাইরে আমার তেমন নেগেটিভ কিছু চোখে পড়েনি) . হালকা স্পয়লার দেই - বইয়ের পুরো কাহিনী বইটার প্রচ্ছদেই। নাম দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে - কয়েক পাতা পড়ার পর প্রচ্ছদ নিয়ে গবেষণা করলেই গল্প একদম ক্লিয়ার। . কাহিনীর হিসাবে বইটাকে আমার পড়া গত বছরের বইগুলোর মাঝে উপরের দিকেই রাখতে হচ্ছে। এরকম কাহিনী সচারচর পাওয়াটা খুবই রেয়ার।
Was this review helpful to you?
or
ভাল হয়েছে।
Was this review helpful to you?
or
রিভিও #শ্বাপদ সনে ধরণ- হরর থ্রিলার লেখক-নাবিল মুহতাসিম প্রকাশনী-বাতিঘর প্রকাশনী কমনওয়েলথে সোনা জেতা বড়লোকের ব্যাটা জামশেদ খান। দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়াবহ দিন শুরু হয় তার বাবার বিভৎস মৃত্্যুর পরে। বাস্তব হয়েও বাস্তব নয় এমন এক দুনিয়ার বেড়াজালে অাটকা পরে জামসেদ। ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে চলা জামসেদ খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধু শিপলু অার এমবিবিএস পাশ করা জ্যাঠাতো ভাই সামাদ কে সাথে নিয়ে সে পালিয়ে যায় রংপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। এমন এক গ্রাম যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে খোদ শয়তান ও এক প্যারানরমাল রহস্য।মাথায় মৃত বাবার সাবধানবাণী অাসল নকল বিচার কর।জঙ্গলের গহীনে পরিত্যাক্ত রহস্যময় মন্দিরে দেখা অপার্থিব শ্বাপদ,রহস্যময় গ্রামবাসী,ক্রমাগত ঘটতে থাকা রহস্যময় খুন সাথে জামসেদের মস্তিষ্কের তৈরি সব বিভ্রান্তকর মায়াজাল। জামসেদ কি পারবে অন্য জগতের এই রহস্য সমাধান করে বেচে ফিরতে তার সঙ্গীদের নিয়ে? নাকি চিরতরে অাটকা পরবে শ্বাপদ সনে? রিভিও লেখার হাত খুবই কাচা।অাশা করি সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
Was this review helpful to you?
or
ভাল লেগেছে। যারা ভৌতিক ও রহস্যময় ব্যাপার ভালবাসেন, তারা পড়ে দেখতে পারেন।
Was this review helpful to you?
or
এই বইটা কিনবার সময় সময় কিভাবে কিভাবে যেন চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস গিয়েছিল, ভুলেও যদি “হরর” শব্দটা দেখে ফেলতাম, কোনভাবেই কিনতাম না হয়ত। আর নিশ্চিতভাবেই মিস করতাম রুদ্ধশ্বাসে শেষ করা কাহিনীটা! -এটা কি “হরর” বই? আমি সিউর না। ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ ভীতু, সযতনে ভুত-প্রেত সংক্রান্ত কাহিনী এড়িয়ে চলি। -তবে কি এটা লেখকের দাবী করা “হরর-থ্রিলার”? আলবৎ!!! অল্প কিছু থ্রিলার পড়ার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আর যাই হোক, এই বইয়ে থ্রিলের অভাব নাই!! গল্পের নায়ক একই সাথে অতীব ধনীর একমাত্র পুত্র এবং ইন্টারন্যাশনাল স্বর্ণজয়ী শ্যুটার। এক্সিডেন্টে বাবা মারা যাবার পর থেকে বিশাল সম্পত্তির ভার যার একার উপর চেপে বসেছে। প্রচুর মানসিক চাপ নিতে না পেরে যে মাঝেমধ্যেই এলকোহলের দিকে ঝুকে পড়ছে। তবে সে জিনিসের উপরও যার রয়েছে আর্শ্চয কন্ট্রোল। বিভিন্ন টাইমলাইনে ঘুরে ফিরে, ক্যারেক্টার বিল্ড-আপের ভেতর দিয়ে বইয়ের প্রথম পার্ট এসে থামে একটা শুটিং সিনে, যেখানে নায়কের গুলিতে এক মাস্তানের মৃত্যু হয়। খুনের দায় থেকে বাচতে নায়ক গা ঢাকা দিতে এসে পৌছায় রংপুরে। কাহিনীর রংপুর পার্ট পর্যন্ত যেতে পারাটাই এই বইয়ের কঠিন বিষয়। “টিপিক্যাল বাতিঘর প্রকাশনী” টাইপ কিছু বর্ণ্না/ ঘটনা/ লেখা/ জিনিস রয়েছে প্রথম পার্টে, যা অনেকাংশেই গল্পের গতি শ্লথ করে দিচ্ছিল। তবে মুখের স্বাদ বারাবার জন্যে মাঝে মধ্যে তিতা করল্লাও খেতে হয়। তাই প্রথম ভাগটা একবার পার করে ফেলতে পারলে আর আটকাবে না ঘটনা! অজপাড়াগায়ে এ কোন প্রানীর আনাগোনা? প্রানী? নাকি পিশাচ? তাকে ধরতে আপাত অপ্রকৃতস্থ কিন্তু শার্পশুটার নায়কের জঙ্গলের ভেতর তাড়া করবার বর্ণনা। ভৌতিক বাড়ি, পুরোনো মন্দির, গ্রামের হাট-বাজার আর আমার মতন উত্তরবংগ থেকে আসা মানুষের জন্য বোনাস হিসেবে “অংপুরের” ভাষা! জমজমাট একটা থ্রিলারই বটে! চাইলে অনেক অনেক ভুল হয়ত ধরা সম্ভব এই বইয়ে। বিবিসির শার্লক সিরিজ দেখা থাকলে সেটার স্পেসিফিক একটা এপিসোডের প্রভাব এই কাহিনীতে বেশ স্পস্ট। টুকটাক প্লট হোলও চোখে পরতে পারে। তবে, মনে রাখা উচিত, নাবিল মুহতাসিম নামক নবীন এই লেখকের প্রথম মৌলিক উপন্যাস এটা। পড়বার পর বাকি দুইটা পড়ার জন্য তর সইছে না (আফসোস, একটা আউট অফ স্টক :( ) সবচাইতে ইন্টিলিজেন্ট লেগেছে পুরো গল্পের মাঝে ৫-৬টা ছোট ছোট ভৌতিক কাহিনী জুড়ে দেয়া। যেগুলো সম্পূর্ণ আউট অব কন্টেক্সট। প্রত্যেকটা পিলে চমকানোর মতন। বিশেষ করে “আজকে পা পেয়েছি! আজকে পা পেয়েছি! আজকে পা পেয়েছি! আজকে পা পেয়েছি! কালকে মাথা চাই! কালকে মাথা দিবি! কালকে মাথা দে! দে দে দে দে!...।।” পড়ে আরেকটু হলেই বিছানা ভিজিয়ে ফেলেছিলাম! ভীতুর ডিম আমি আজো খুজে মরি, সেই বাচ্চাকালে সনি টিভিতে দেখা আহাত সিরিজে যে লো কমোডের মধ্যে দিয়ে হাত বের হয়ে আসত, সেই হাতটা কার? ভাগ্যিস, শ্বাপদসনেরর শেষে প্রতিটা ঘটনার ব্যাখা দেয়া আছে, আই ক্যান স্লিপ ইন পিস :P বইঃ শ্বাপদ সনে লেখকঃ নাবিল মুহতাসিম প্রকাশকঃ বাতিঘর প্রকাশনী
Was this review helpful to you?
or
#রকমারি_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগিতা বইয়ের নামঃ শ্বাপদ সনে লেখকের নামঃ নাবিল মুহতাসিম ঘরনারঃথ্রিলার রেটিং-৪.৫/৫ রিভিউঃ শিল্পপতির ছেলে জামশেদ। খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইবভেস্টিগেটর বন্ধুর সাথে এক অজপাড়াগাঁয়ে বন্ধুর সাথে গাঁ ঢাকা দিতে এসেছে। কিন্তু গ্রামে ঘটে যাচ্ছে অনেক কিছু। একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে আতাতয়ী দ্বারা। জামশেদের বন্ধুর মতে , এটা সেই কিংবদন্তির শ্বাপদ যা গ্রামের পাশে রহস্যময় জঙ্গলে বাস করছে শত বছর ধরে। কিন্তু বন্ধুর কথা, কতোটা যুক্তিযুক্ত? যদি এটা সত্যি না হয়, তবে জঙ্গলের ভেতর যেখানে পুরনো মন্দির, সেখানে কার মুখোমুখি হতে হলো? এটা কি সেই শ্বাপদ, নাকি অসীম ক্ষমতাধরের, যে কিনা অন্ধকারের রাজপুত্র, যার হাতে অমরত্বের চাবি! প্রকাশনীঃবাতিঘর পৃষ্ঠাঃ২০৮ মূল্যঃ২০০ প্রচ্ছদঃডিলান ব্যক্তিগত মতামতঃ ভয় পাওয়ার জন্য বইটা বেশ। গল্পের কাহিনী সুন্দর। চরিত্রগুলোও লেখক আলাদা আলাদা ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এদিক থেকে চরিত্র চিত্রায়নও বেশ ভালো ছিলো। বর্ণনা ছিলো সুন্দর এবং বিশদ ভাবে তাতে বইয়ের প্যারানরমাল ব্যপার গুলো পাঠকের কাছে সহজ হয়ে যাবে। লেখকের লেখার হাত বেশ ভালো। তার লেখনীর জন্যই পুরো বইটাতে কোন রূপ বিরক্ত লাগে নি। এটা লেখকের প্রথম বই হিসেবে যথেষ্ট নির্ভূল ছিলো। কিন্তু বিষয় আরেকটা ছিলো, তাহলো কিছু ইংরেজী শব্দের ব্যবহার। যদিও এটা তেমন ব্যপার না। তবুও কিছুটা কম ব্যবহার হলে ভালো হতো। প্রথমে গল্পটা কিছুটা ধীরে হলেও, মাঝামাঝি থেকে বেশ গতি নিয়ে শেষ হয়েছে। ধীর হলেও মোটেও বিরক্ত লাগে নি। গল্পের যে জিজ্ঞাসা, কে করছে, কিভাবে করছে, কেন করছে, সব মিলেয়ে কেন হচ্ছে এই সব প্রশ্ন গুলো পুরোটা বইয়ে পাঠককে ব্যস্ত করে রাখবে বইটা শেষ করতে। গল্পে কিছু মেডিক্যাল টার্ম এসেছে। এগুলো লেখক ডাক্তার হওয়ার কারনে সহজ করে তুলে ধরেছেন, পাঠকের কাছে। অসাধারণ একটা টুইস্ট ময় গল্প পড়তে, শ্বাপদ সনে একবার পড়তে পারেন। যেহেতু হরর থ্রিলার টাইপ। তাই, ভয়ের সাথে করবো জয় এরকম একটা ভাব করবে পাঠকের মাঝে। সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। https://www.rokomari.com/book/111628/শ্বাপদ-সনে?ref=srbr_pg0_p0
Was this review helpful to you?
or
#রকমারী_বইপোকা_রিভিউ_প্রতিযোগীতা চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল ছোট্ট একটা দৃশ্য। রোদে দরদরিয়ে ঘামতে ঘামতে একটা শুকনো ভুট্টো খেতের মাঝে রাইফেল উঁচিয়ে ঘুরছে এক লোক। যেন যেকোনো দিক থেকে মারাত্বক কিছু একটা এসে দাঁড়াবে সামনে যেকোনো মুহুর্তে। এই ছোট্ট একটা দৃশ্যপটই জন্মদেয় একটা সুন্দর গল্পকে। যার পর ডালপালা বেড়ে উঠার পর সৃষ্টি হয় একটা হরর থ্রিলার “শ্বাপদ সনে” জামশেদ, এক শিল্পপতির একমাত্র উত্তরাধিকার. ’৮৮ তে সাফ গেমসে শূটিং এ গোল্ড মেডেল পাওয়া এক যুবক। লাইফের সোনালী অধ্যায় বলতে এ ছাড়া আর বিশেষ কিছু রাখেন নি ভাগ্যদেবী বেচারার কপালে। যেখানেই হাত রাখছে সোনা যেন ছাই হয়ে ধরা দিচ্ছে ওর বজ্রমুষ্টির মাঝে। সেই ছাইরাঙা কপালই ওকে বানিয়ে দেয় খুনের আসামী। ধরা পরার হাত থেকে বাঁচতে............ শিপলু, জামশেদের কাছের একজন বন্ধু। ওর আরেকটা পরিচয় হচ্ছে শখের প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর। মানুষ যা থেকে দূরে থাকতে চায়, শিপলুকে তাই টানে। আর এইবার জামশেদকে খুনের দায় থেকে বাঁচাতে ওর সঙ্গী বানিয়ে নিয়ে যায় এক অজঁপাড়াগাতে। শত বৎসরের রহস্যের সমাধানে লৌকিক কিংবা অলৌকিক উপায়ে। অবশেষে মুখোমুখি হয় জামশেদ সেই প্রগৌতিহাসিক শ্বাপদের, যার কথা মুখে মুখে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শত বছর ধরে। আসলে কার মুখোমুখি হয় জামশেদ ? সেটা হয়তো জানা যাবে কিংবা জানা যাবে না। ভয় পাওয়ার মতো কিছু সর্বশেষ পড়েছিলাম গতবছর। লেখক তানজীম আহমেদের ‘অক্টারিন’। সেই নাম মনে হলে এখনো ভয়ে শিউরে উঠি। থাক পুরোনোদিনের কথা (হেটার্সরা আবার অন্য কথা তুলবে) আর কয়দিন আগে ভয় কে জয় করে হাতে নিয়ে ফেলি “শ্বাপদ সনে” ভয় কে জয় করা হয়েছিলো কিনা তা জানিনা তবে বইটাকে বেশ লেগেছে। সাউন্ডস লাইক আউট অফ দ্য বক্স। সাধারণ প্রেত সাধনা, পোড়ো বাড়ী, অভিশপ্ত আত্মা এই থিম গুলোর বাহিরে থেকে কিছু তুলে ধরেছেন। প্লট টা কি ইউনিক? নাহ। কিন্তু এই ছোট্ট কলরবের প্লটটাকেই লেখক বইয়ের পাতাতে তুলে ধরেছেন নিজস্ব সাবলীলতার মাধ্যমেই। ভয় পেতে চান? ভয় টা হয়তো পাবেন না। কিন্তু সাসপেন্স? পুরোদমে। কি হবে ? ক্যামনে হবে প্রশ্ন গুলো জ্বালিয়ে মারবে পুরোটা সময় জুড়েই। বোনাস রাউন্ড হিসেবে যে পাঁচটা কেস স্টাডি আকারে যে ছোট্ট গল্পগুলো দেয়া আছে বইটাতে তা আরেকটু অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারতো হয়তো। পুরো গল্পের সাথে খাপ খাইয়েছে শেষ ছোট গল্পটাই। আর গুলোকে আমি বোনাস ছোট্ট গল্প হিসেবেই ধরে নিয়েছি। নাটকের শেষাংশটাকে হুট করে চোখের সামনে তুলে ধরেছেন লেখক। জামশেদ বুঝে ফেললো কিভাবে সর্ষের মাঝে ভুত আর ভুত নাই পুরো সর্ষেক্ষেতটাই ভুত। পাঠক রয়ে গেল কুয়াশার মাঝখানে। কে আর কেন এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছে কিন্তু কীভাবে এর উত্তর পাঠক খুজে পায় নি পাতার মাঝে। সয়না জ্বালা, তুমি বিনে, চইল্লাম আমি শ্বাপদ সনে বন্ধুর স্মৃতি ভুলতে না’রি বনের মাঝে দিনু পাড়ি। যাবেন জামশেদের সাথে বনের মাঝে দিন পাড়ি দিতে? শ্বাপদের সনে? গেলে নিজ দায়িত্বে। স্পেশাল ক্রেডিট দিবো প্রচ্ছদকারীকে। শ্বাপদ সনের জন্য এর চাইতে ভাল কোনো প্রচ্ছদ হতে পারে না। একনজরে, বইঃ শ্বাপদ সনে জনরাঃহরর থ্রিলার লেখকঃ নাবিল মুহতাসিম প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী,২০১৬ পৃষ্ঠাঃ২০৬ মুদ্রিত মুল্যঃ২০০ টাকা মাত্র রেটিং ৪/৫ রকমারী লিংকঃhttps://www.rokomari.com/book/111628/%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A7%87
Was this review helpful to you?
or
১৯৮৮ তে সাফ গেমসে স্বর্ণবিজয়ী শুটার জামশেদ রহমান খান, দেশের নামকরা ব্যবসায়ী আব্বাস রহমান খানের একমাত্র সন্তান। হাতের নিশানা নিখুত হলেও তার মেজাজের কোন ঠিকানা ছিলনা, এখনো নেই। সাফ গেমসে সোনা জেতার পর প্রচন্ড একগুয়ে আর বদরাগী এই ছেলের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল অলিম্পিক। কিন্তু অলিম্পিক গেমসে যাওয়ার সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পরেও জামশেদকে ফিরে আসতে হয় তার স্বপ্নের দোরগোড়া থেকে, একটা ঘটনা অথবা দুর্ঘটনার অন্তরালে চাপা পড়ে যায় তার কমনওয়েলথে যাবার প্রত্যাশা; এরকম একটি পরিস্থিতি যে কারো মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এই ১৯৯৩ সালে, জামশেদের বর্তমান মানসিক বিপর্যয়ের জন্য সম্ভবত এই ঘটনা দায়ী নয়। এর জন্য দায়ী করা যেতে পারে মাস ছয়েক আগে ঘটে যাওয়া আরেকটি দুর্ঘটনাকে, তার বাবা আব্বাস রহমান খানের মৃত্যু। বাবার মৃত্যুর পর তাঁর সমস্ত ব্যাবসা বাণিজ্যের ভার এসে পড়েছে জামশেদের উপর। কিন্তু এসব সামলানোর মত মানসিক অবস্থা এখন তার নেই। দুঃস্বপ্ন আর হ্যালুসিনেসন তাকে এমনভাবে জেকে ধরেছে যে এখন সাইকিয়াট্রিস্টের সাহায্য না নিলেই নয়। সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ - কিছুদিনের জন্য কোথাও থেকে বেড়িয়ে আসা। কিন্তু একগুয়ে জামশেদ এই পরামর্শ মানতে নারাজ, সে আছে তার মত করে। জামশেদের বন্ধু শিপলু ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, প্যারানরমাল একটিভিটির প্রতি তার সীমাহীন আগ্রহ। যেখানেই অতিপ্রাকৃত ঘটনার খোঁজ পায়, সেখানেই ছুটে যায় নতুন অভিজ্ঞতা লাভের সন্ধানে। জামশেদও অনেকবার শিপলুর সাথে গিয়েছে সেইসব প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেসনে। এবারও শিপলুর কাছ থেকে এরকমই এক তদন্তের সঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব পায় সে। কিন্তু সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শের মত শিপলুর প্রাস্তাবকেও উড়িয়ে দেয় জামশেদ। মন্ত্রীর মেয়ে আইরিনের সাথে জামশেদের প্রণয়ের সম্পর্ক, তবে সেই সম্পর্কটাও ইদানিং কেমন যেন খাপছাড়া হয়ে গেছে। তার উপর আবার দুজনের মাঝে এসে ঢুকেছে আইরিনের এক্স বয়ফ্রেন্ড রাশেদ। এই ত্রিভূজ প্রেমের সূত্র ধরেই ঘটে যায় আরেকটি দুর্ঘটনা, যার ফলশ্রুতিতে শিপলুর সাথে জামশেদ এখন জগদানন্দপুরে, পিশাচ রহস্য উদঘাটন অভিযানে। জগদানন্দপুরে শিপলু ও জামশেদের আরেক সঙ্গী সামাদ, জামশেদের চাচাতো ভাই। বয়সে জামশেদের চেয়ে ছোট হলেও এই ছেলের বিচক্ষণতা জামশেদের তুলনায় বেশিই বলা যায়। স্বল্পভাষী সামাদ সদ্য এমবিবিএস পাশ করেছে। পিশাচ নিধন উদ্যোগে সেও জামশেদ ও শিপলুর দোসর। রংপুরের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম জগদানন্দপুর। সম্প্রতি এক রহস্যময় প্রাণীর আক্রমণ অতিষ্ঠ করে তুলেছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই সাতটি গরু, গোটাদশেক ছাগল আর তিন তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়েছে পিশাচ নামে পরিচিত সেই দুর্বোধ্য জন্তুর হাতে। গভীর রাতে সেই রহস্যময় প্রাণীর জান্তব হুংকার কাপিয়ে দেয় প্রতিটি গ্রামবাসীর হৃদপিন্ড। আর এই ভয়ঙ্কর হিংস্র প্রাণীর সাথে মোকাবিলা করতে প্রাণ হাতে নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তিন তরুণ – জামশেদ, শিপলু আর সামাদ। কিন্তু এর পরিণতি কি, সেটা বইটি শেষ না করা পর্যন্ত রয়ে যাবে ধারণার বাইরে। তাই চটপট পড়ে ফেলতে পারেন বইটি। হ্যাপী রিডিং :) :) পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ শ্বাপদ সনে নাবিল মুহতাসিমের প্রথম মৌলিক উপন্যাস। আমার পড়া লেখকের প্রথম বই। বইটির বেশিরভাগ অংশই পড়েছি রাত ২ টার পরে; গল্পের প্লট আর লেখনশৈলীর কারণে এমনিতেই ভয় ভয় লাগছিল, তার উপর মাঝরাতে কুকুরের চিৎকার আমার ভয়কে বাড়িয়ে দিয়েছিল আরো বহুগুনে। বইটি পড়ার আগে প্রচ্ছদে দেখলাম একটি মানুষের ছবি, যার প্রতিবিম্বের মাথায় বসানো আছে দুটো শিং, যা আপাতদৃষ্টিতে একটি দানবকেই নির্দেশ করে (আমার মনে হয়েছিল)। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখি রহস্যের আধার শেয়ালের মত একটি চারপেয়ে জন্তু; তাই পড়ার মাঝখানে এই অসামঞ্জস্যটা কয়েকবার নাড়া দিয়েছে মনে; এ নিয়ে আর কিছু বলবো না, পাঠকরা নিজেরাই বুঝবেন পড়লে। তবে আমার কাছে শিপলুর কেস স্টাডিগুলো ছিল বেশি আকর্ষণীয়। শেষের চমকটার কথা আর নাইবা বললাম। প্রিয় চরিত্রের কথা আর কি বলবো। নায়ক যেহেতু জামশেদ, তাই তাকেই ভাললাগার কথা; কিন্তু অতিরিক্ত বদমেজাজী হওয়ায় তাকে ভাল লাগেনি, কিছুটা বেয়াদবও মনে হয়েছে। তবে ভাল লেগেছে তার সাহসিকতাকে। আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগবে।
Was this review helpful to you?
or
" সয়না জ্বালা ,তুমি বিনে , চইল্লাম আমি শ্বাপদ সনে " - শ্বাপদ সনে শুরু হয় সাফ গোল্ড মেডেলিস্ট জামশেদের মাধ্যমে। একসময়ের শার্প শুটার এবং বিরাট বড়লোক জামশেদ হঠাৎ এক বিরাট সমস্যায় পড়ে এবং তার জন্য গা ঢাকা দেবার দরকার পড়ে। তখন এগিয়ে আসে তার বন্ধু শিপলু আর চাচাতো ভাই সামাদ । পেশায় শিপলু সাংবাদিক আর প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর এবং সামাদ ডাক্তার । তারা পাড়ি জমায় রংপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। এদিকে সেই গ্রামে এক রহস্যময় প্রাণীর আবির্ভাব হয়েছে যে মানুষ-পশু সবাইকে মেরে ফেলছে । এখন এই রহস্যের পিছনে তাদের ইনভেস্টিগেশন শুরু হলে বের হতে থাকে ভয়ঙ্কর সব তথ্য আর রহস্য আরো ঘনীভূত হতে থাকে।এখন এসব রহস্যের কুল কিরানা করতে হলে পড়তে হবে হরর- থ্রিলার "শ্বাপদ সনে।" - রেটিং : ৮.৫/১০( হরর গল্পের স্বার্থকতা কি ? যদি এর অর্থ পাঠককে ভয় পাওয়ানো হয় তাহলে সে হিসেবে এই বই ভালোভাবে উৎরে গেছে।গল্পের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল শিপলুর প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন এর ছোট গল্পগুলি । পাঠককে মূল গল্পে এক cliffhanger এ রেখে প্যারানরমাল গল্পগুলি শুরু করা আসলেই অভাবনীয় ছিল। গল্পের মূল কাহিনী শুরু হয় প্রায় অর্ধেকে যেয়ে। তারপর থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলেছি। গল্প যেভাবে ডালপালা মেলেছিল তাতে আরো ভালো এন্ডিং আশা করেছিলাম। চরিত্র গুলি ঠিকঠাক তবে শেষটা একটু খাপছাড়া। বর্ণনাশৈলী চমৎকার , তাই মেডিক্যাল টার্ম গুলো পড়তেও কোন অসুবিধা হয়নি। - এক কথায় , যারা ভৌতিক গল্প পড়তে পছন্দ তাদের জন্য " শ্বাপদ সনে " বেশ ভালো মানের একটি বই যা শীতের রাতে পড়ার জন্য একেবারেই আদর্শ ! সামনে লেখকের কাছ থেকে এরকম আরো লেখার আশায় রইলাম। )
Was this review helpful to you?
or
নাবিল মুহতাসিমের জন্ম রংপুরে। বাবা একজন উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, আর মা গৃহিণী। পড়াশোনা করেছেন রংপুর জিলা স্কুল এবং কারমাইকেল কলেজে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে অধ্যয়নরত রয়েছেন। প্যারানরমাল আর অক্টাল সাহিত্যের ভক্ত ও ভ্রমণপিপাসী তিনি। বিভিন্ন দেশের প্রাচীন মুদ্রা সংগ্রহ তার একধরনের নেশা। লেখালেখির হাতেখড়ি ছোটবেলাতেই। সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময় একটি জাতিয় দৈনিকের ছোটদের পাতায় তার লেখা প্রকাশিত হয়। বাতিঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার অনুবাদ গ্রন্থ বর্ন লিগ্যাসি ও ফাইট ক্লাব। এ বছর বইমেলায় বেরিয়েছে তার লেখা প্রথম মৌলিক উপন্যাস “শ্বাপদ সনে”। এ বইটিও প্রকাশিত হয়েছে বাতিঘর প্রকাশনী থেকে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ডিলান। গল্পের মূল চরিত্র জামশেদ। ধনী পরিবারের বেকার সন্তান, এককালে শুটিং এ সোনাজয়ী, পরবর্তীতে ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত। মাথাগরম করে খুনের দায়ে জড়িয়ে পড়ায় গা ঢাকা দিল রংপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে শুরু হয়েছে এক অদ্ভূত জন্তু বা পিশাচের উপদ্রব। জামশেদ বুঝতে পারল, অনেক বড় কোন ঝামেলা আছে এখানে। কিন্তু সেই ঝামেলায় যে ও নিজেও এমন ভয়ঙ্কর ভাবে জড়িয়ে পড়বে সেটা ভাবতেও পারেনি। খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর সাথে এক অজপাড়াগাঁয়ে গা ঢাকা দিতে এসে আরো বড় বিপদে পড়ে গেল শিল্পপতির ছেলে জামশেদ। একের পর এক গ্রামবাসি খুন হচ্ছে অজানা কোনোকিছুর হাতে। জামশেদের প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর মতে, এটা সেই কিংবদন্তির শ্বাপদ যা গ্রামের পাশে রহস্যময় জঙ্গলে বাস করছে শত বছর ধরে। নতুন লেখক হিসেবে নাবিল মুহতাসিমের লেখার হাত যথেষ্ট পরিণত। হরর এবং থ্রিলার দুইটারি ভক্ত এমন পাঠকের বইটি খুব ভাল লাগবে বলে আশা করা যায়।
Was this review helpful to you?
or
পড়ে ফেললাম তরুণ লেখক নাবিল মুহতাসিমের প্রথম মৌলিক উপন্যাস "শ্বাপদ সনে।" এবং বলতেই হচ্ছে, আমার টাকা এবং সময় দুটোই উসুল। অনেকদিন এমন টানটান থ্রিলার পড়িনি। বইয়ের মূল চরিত্র জামশেদ। ধনী পরিবারের বেকার সন্তান, এককালে শুটিঙে সোনাজয়ী, পরবর্তীতে ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত। মাথাগরম করে খুনের দায়ে জড়িয়ে পড়ায় গা ঢাকা দিল রংপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানে শুরু হয়েছে এক অদ্ভূত জন্তু বা পিশাচের উপদ্রব। জামশেদ বুঝতে পারল, অনেক বড় কোন ঝামেলা আছে এখানে। কিন্তু সেই ঝামেলায় যে ও নিজেও এমন ভয়ঙ্কর ভাবে জড়িয়ে পড়বে সেটা ভাবতেও পারেনি। এবার আসি বইয়ের ময়না তদন্তে। নতুন লেখক হিসেবে নাবিল ভাইয়ের লেখার হাত যথেষ্ট পরিণত। কাহিনী বর্ণনায় বা দৃশ্যপট তৈরি করতে তার হাত কখনও হোচট খায়নি। লিনিয়ার বর্ণনার মাঝে শিপলু নামের চরিত্রটার অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতাসমূহের বর্ণনা বেশ ভাল লেগেছে। জামশেদ চরিত্রের ডেভেলপমেন্টে লেখক মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। টিপিক্যাল হিরোর মত ধুমধাম মারদাঙ্গা মহাপুরুষ নয়, সাধারণ মানুষের মত দোষগুণে মিলিয়ে তৈরি হওয়ায় পাঠকের মাঝে চরিত্রের সাথে একাত্মতা বোধ করতে কোন সমস্যাই হবে না। তবে খারাপ দিকটা হল, এক জামশেদ বাদে অন্য কোন চরিত্র তেমনভাবে উঠে আসার সুযোগ পায়নি, এমনকি দুই একটা চরিত্রকে বাহুল্য বলেই মনে হয়েছে। বইয়ের তেমন কোন ভুল চোখে পড়েনি। তবে শিপলুর শেষ অভিজ্ঞতার শেষে একটু খটকা লাগল। (স্পয়লার) অভিজ্ঞতাগুলো তো পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সেখানে সে কিভাবে বলতে পারে, "তুমি তো জানো আমি কার উপাসনা করি!" এতে কি পাঠকের মনে নেগেটিভ ধারণা তৈরি হবে না? শিপলু সাংবাদিক হয়ে কি এত বড় ঝুঁকি নেবে? বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। শ্বাপদ সনের প্রচ্ছদ এ বছর বাতিঘর থেকে বের হওয়া বইগুলোর মাঝে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রচ্ছদ। সিম্পলের মাঝে আগ্রহ জাগানোর মত ডিজাইন। তবে তন্ময় আহমেদ ভাই একটা কথা বলেছিলেন। প্রচ্ছদে গাঢ় রঙটা উপরের অংশে, আর হালকা রংটা নিচের অংশে ব্যবহার করা হয়েছে। যে কারণে চোখে একটু অস্বস্তি লাগে। বইটা উলটো করে ধরলে কিন্তু সেই অস্বস্তিটা আর থাকে না, মনে হয় এভাবেই ঠিক ছিল।
Was this review helpful to you?
or
অসাধারণ একটি কাহীনি...। যারা হরর এবং থ্রিলার দুইটারি ভক্ত তারা অবশ্যই পড়বেন...। তবে বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে একটু হতাশ আমি...। কারণ আমার মত ঝানু থ্রিলার পাঠকেরা সহজেই বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে আর কাহীনি কিছুটা পড়ে গল্পের একটা বড় টুইস্ট সহজেই ধরে ফেলতে পারবে...। যারা বইটা পড়েন নাই তাদের জন্য টুইস্ট টা বলে দিয়ে আনন্দটা মাটি করছি না...। যাই হোক, চমক আরও অনেক ছিল...। তাই এই ছোট্ট হতাশাকে ছাপিয়ে অনেক রোমাঞ্ছকর আর উপভোগ্য মুহূর্তই উপহার পেয়েছি...। নাবিল মুহতাশিমের কাছ থেকে এরকম আরও মৌলিক গল্প চাই...। সব শেষে লেখক, প্রকাশক আর বাতিঘর প্রকাশনীর জন্য শুভ কামনা রইল...। আর প্রচ্ছদের বিষয়টার দিকে প্রকাশকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...। খুব সূক্ষ হলেও তা আমাদের মত ঝানু পাঠকদের জন্য যথেষ্ঠ...।আশা করি নাজিম উদ্দীন ভাই বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখবেন...। আর রকমারীর কাছে অনুরোধ থাকবে এই রিভিউ গুল যেন প্রকাশনী সংস্থার কাছে পৌছানোর ব্যাবস্থা নেয়া হয়...। ধন্যবাদ সবাইকে...।
Was this review helpful to you?
or
খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর সাথে এক অজপাড়াগাঁয়ে গা ঢাকা দিতে এসে আরো বড় বিপদে পড়ে গেল শিল্পপতির ছেলে জামশেদ। একের পর এক গ্রামবাসি খুন হচ্ছে অজানা কোনোকিছুর হাতে। জামশেদের প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর মতে, এটা সেই কিংবদন্তির শ্বাপদ যা গ্রামের পাশে রহস্যময় জঙ্গলে বাস করছে শত বছর ধরে। সত্যিই কি তাই? নাকি সবছিুর ব্যাখ্যা আরো জটিল? জঙ্গলের ভেতরের পুরনো মন্দিরে অবশেষে কার মুখোমুখি হতে হলো? অপার্থিব শ্বাপদের, নাকি সেই অসীম ক্ষমতাধরের, যে অন্ধকার জগতের রাজপুত্র, অমরত্বের চাবি যার হাতের মুঠোয়, লৌকিক পৃথিবীর অলৌকিক অধিশ্বর হয়ে উঠতে যার দরকার আর মাত্র একটা... এই রহস্য উদঘাটন করতে হলে ডুব দিতে হবে কোনোমতে প্রাণ হাতে নিয়ে ফেরা এজজনের অবিশ্বাস্য জবানবন্দীর গভীরে। নাবিল মুহতাসিমের প্রথম মৌলিক উপন্যাস, হরর-থ্রিলার ‘শ্বাপদ সনে’ পাঠককে ভিন্ন ধরণের একটি গল্পের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।
Was this review helpful to you?
or
It’s a masterpiece book. It’s just amazing.this story is so much thriller full I suggest you will buy this. And get a amazing experience
Was this review helpful to you?
or
সত্যিই এরকম বই আমি জীবনে কমই পড়েছি. সূর্যের আলো পড়লে ও আপনার মনে ভৌতিক এক ভাব চলে আসবে। অক্তারিন পরে আমার মত যারা বই পাননি তারা এইটা পরে মজা পাবে বলে আমি মনে করি। যারা উত্তেজনা, রহস্য আর বিষম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি বেস্ট। বই এর সারমর্ম বলে প্লট এর মজা নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু একটু তো বলতেই হয়, বইটির মেইন চরিত্র হলো জামশেদ আর শিপলু। জামশেদ হলো ধনাদ্য পরিবার এর একমাত্র ছেলে, যার পরিবার বলতে সামাদ নামের এক চাচাতো ভাই ছাড়া আর কেও নেই। আর শিপলু হলো একজন পেরানর্মাল ইনভেস্টিগেটর। জামশেদের সাথে এক দুর্ঘটনা ঘটার পর তারা দুইজন মিলে রংপুর এর এক গ্রামে পেরানোর্মাল ইনভেটিগেশন করতে যায়। সেখানে প্রকাশ পাই কিছু ভয়ংকর আর বেদনা দায়ক সত্য যা জামশেদ আর অন্যদের কে পোহাতে হয়। জামশেদের জবানবন্দি থেকে পাঠক চলে যাবে এক অজানা আর ভয়নক ঘটনায়। কে বেঁচে থাকবে আর কে হবে মৃত্যুর দরজায় তা নিয়ে হবে লড়াই। জামশেদ কি জানবে তার সামনে কি আসল আর কি নকল? তার বাবার কথা কি সে অবশেষে বুঝতে পারবে? এইসব বিভীষিকাময় ঘটনার পিছনে কে আছে? জানতে চাইলে পড়ুন শ্বাপদ শনে!!!
Was this review helpful to you?
or
#রিভিউ বইয়ের নামঃ শ্বাপদ সনে বইয়ের ধরণঃ থ্রিলার/রোমাঞ্চপন্যাস লেখকঃ নাবিল মুহতাসিম প্রকাশনীঃ বাতিঘর প্রকাশনী প্রচ্ছদশিল্পীঃ ডিলান প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পৃষ্ঠাঃ ২০৮ মূল্যঃ ২০০ টাকা সার-সংক্ষেপঃ খুনের দায় এড়াতে প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর সাথে এক অজপাড়াগাঁয়ে গা ঢাকা দিতে এসে আরো বড় বিপদে পড়ে গেল শিল্পপতির ছেলে জামশেদ। একের পর এক গ্রামবাসি খুন হচ্ছে অজানা কোনোকিছুর হাতে। জামশেদের প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর বন্ধুর মতে, এটা সেই কিংবদন্তির শ্বাপদ যা গ্রামের পাশে রহস্যময় জঙ্গলে বাস করছে শত বছর ধরে। সত্যিই কি তাই? নাকি সবছিুর ব্যাখ্যা আরো জটিল? জঙ্গলের ভেতরের পুরনো মন্দিরে অবশেষে কার মুখোমুখি হতে হলো? অপার্থিব শ্বাপদের, নাকি সেই অসীম ক্ষমতাধরের, যে অন্ধকার জগতের রাজপুত্র, অমরত্বের চাবি যার হাতের মুঠোয়, লৌকিক পৃথিবীর অলৌকিক অধিশ্বর হয়ে উঠতে যার দরকার আর মাত্র একটা... এই রহস্য উদঘাটন করতে হলে ডুব দিতে হবে কোনোমতে প্রাণ হাতে নিয়ে ফেরা এজজনের অবিশ্বাস্য জবানবন্দীর গভীরে। পাঠ-পর্যালোচনাঃ লেখক নাবিল মুহতাসিমের প্রথম উপন্যাস। এর আগে কয়েকটি অনুবাদের কাজ করেছেন। মৌলিক উপন্যাস এটাই তার প্রথম। সেই হিসেবে কাজ ভালো ছিল। গল্পটি মূলত হরর জনরার। সেই সাথে থ্রিলার মেশানো। শুরুটা ভালো লেগেছে। গল্পের প্রধান চরিত্র জমশেদকে বেশ শক্ত পক্ত মানুষ হিসেবেই মনে হয়েছে। অপর চরিত্র শিপ্লুর ক্যারেক্টারাইজেশনটাও ভালো ছিল। গল্প মূলত উত্তম পূরুষে লেখা। তবে গল্পের মাঝখানে মাঝখানে শিপ্লুর কিছু প্যারানরমাল কেস-এর বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে সেগুলোও উত্তম পুরুষে লেখা। তাই কিছু কিছু জায়গায় গুলিয়ে যায়। এছাড়া আরো কয়েকটি জায়গায় খটকা লেগেছে... ১। গল্পের প্লটটা দারুণ ছিল। তবে উপস্থাপনার দিকে দুর্বলতা ছিল। ২।অধ্যায়ের মাঝখানে মাঝখানে প্যারানরমাল কেসগুলোর বর্ণনা না দিলে ভাল হত। এগুলো আসল কাহিনী থেকে মনযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ৩। কয়েক জায়গায় অধ্যায় জোর করে বাড়ানো হয়েছে বলে মনে হয়েছে আমার। ৪। সব প্যারানরমালিটি কি গ্রামেই হয়? শহরে কিছু হয় না? ৫। গল্পের লাস্টের টুইস্টটা অপ্রত্যাশিত ছিল। তবে কেন যেন তার সপক্ষে লেখক পর্যাপ্ত যুক্তি দেখাতে পারেন নি। ৬। জামশেদ চরিত্রের বয়স অনুযায়ী কার্যকলাপের ভেতর পার্থক্য পেয়েছি। কেমন যেন ছেলেমানুষী একটা ব্যাপার ছিল। তবে এসব কিছুর ভেতরেও গল্পের একটা ব্যাপার আসলেই ভালো লেগেছে। সেটি হলো ভয়। লেখকের হরর থ্রিলারের প্রতি বেশী টান এটা গল্প পড়লেই বোঝা যায়। গল্পের ভেতর ভয় ব্যাপারটা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছি। খুব সাধারণ ঘটনাকেও লেখক বেশ সুন্দরভাবে ভৌতিক কায়দায় উপস্থাপণ করতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত বাতিঘরের মৌলিক হরর থ্রিলারের মধ্যে এই একটি বইটিতেই বেশ ভয় পেয়েছি। ও হ্যা! গল্পের আরো একটি দিক ছিল। সেটি হলো সুপার ন্যাচারাল দিক। এই দিকটাও লেখক বেশ ভালো লিখেছেন। তবে আরেকটু আকর্ষনীয় হতে পারতো! এবার আসি বইয়ের বাহ্যিক দিকের কথায়। বাতিঘর প্রকাশনী থেকে এবছর বইমেলায় বের হয়েছে বইটি। গায়ের মূল্য রাখা হয়েছে ২০০টাকা। দেখতে বেশ সুন্দর বইটি। প্রচ্ছদটিও বেশ আকর্ষনীয়। তাছাড়া কাগজ, বাইন্ডিং, ছাপার মান বরাবরই চমৎকার। সব শেষে বলতে চাই, প্রথম উপন্যাস হিসেবে লেখক নাবিল মুহতাসিম একেবারে খারাপ লেখেন নি। পাঠকের ভালো লাগবে। তাই যারা এখনো পড়েন নি, পড়ে ফেলুন। :) আর হ্যাঁ! একটা অনুরোধ! বইটি রাত ১২টার পর পড়া শুরু করবেন! কথা দিচ্ছি! ভয় পাবেন! ;) রেটিংঃ ৪/৫