ভূমিকা
দিন দিন রান্না একটি শিল্পে পরিণত হচ্ছে, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো দিক। এতে নানা দিকে উপকার তার ডানা মেলে। যেমন-কেউ কেউ আছেন বাইরের খাবার একেবারেই পছন্দ করেন না। ঘরের খাবারই তার কাছে তৃপ্তিদায়ক বলে বিবেচিত হয়। অবশ্য সবার বেলা এটি আবার ঠিক না। কেউ কেউ আছেন বাইরে তৈরি ফাস্ট ফুড আর চায়নিজ
রেস্তোরাঁতে খেতে পছন্দ করেন। এতে করে যেমন অর্থের বিষয়টি এসে যায়, তেমনি তৃপ্তির বিষয়ও প্রধানও হয়ে ওঠে। অথচ ইচ্ছে করলেই কিন্তু ঘরেই নানা রকম খাবার তৈরি করে খাওয়া যায়। অনেক গৃহিণীকে এখন দেখা যাচ্ছে ঘটা করে রান্না করে পরিচিত জনকে খাওয়াতে। ভালো কিছু রান্না করে প্রিয় মুখদের রসনায় তৃপ্তিদানে তার যেমন ভালো লাগে তেমনি যিনি ভোজনটি সারেন তিনিও ভালোলাগার অন্য এক আবেশে মিশে যান।
‘দেশি রান্নায় বেশি স্বাদ’ সংকলনটি তাদের জন্যই সাজানো হয়েছে যারা ঘরোয়া খাবার খেয়ে তৃপ্ত হতে চান। পাশাপাশি অন্যদের আপ্যায়ন করে হতে চান খুশি। একটি বিষয় কিন্তু না বললেই নয়, সেটি হলো, যে দেশে যার জন্ম সে কিন্তু সে দেশের খাবারেই অভ্যস্ত এবং তৃপ্ত হতে চায়। আমাদের বেলায়ও কিন্তু এ কথাটি প্রযোজ্য। আমরা বাঙালি। এ দেশেই আমাদের জন্ম আর বেড়ে ওঠা। সুতরাং এখানকার খাবারই যে আমাদের প্রিয় খাবার হবে এ তো জানা কথাই। নিশ্চয় জানেন প্রবাসে যারা আছে তারা সেখানকার খাবার নয় আমাদের খাবারের জন্য হাহাকার করে। আর বাঙালিদের রসনাবিলাসের কথা কে না জানে। কত কত ঐতিহ্যবাহী খাবার যে আমাদের আছে তার কি কোনো শেষ আছে।
আসুন আমরা আমাদের খাবার খেয়ে হই ধন্য। আর অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করি।