মনসুর আজিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘জীবনবেলার বিকিকিনি’।প্রচ্ছদ শিল্পী মোমিন উদ্দীন খালেদ।
মেঘনাপাড়েরর ভিটেমাটিহীন মানুষের প্রেম, ভালোবাসা, সংগ্রাম, মৃত্যু, প্রান্তিক মানুষের উঠেআসার কাহ..
TK. 150TK. 113 You Save TK. 37 (25%)
Product Specification & Summary
মনসুর আজিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘জীবনবেলার বিকিকিনি’।প্রচ্ছদ শিল্পী মোমিন উদ্দীন খালেদ।
মেঘনাপাড়েরর ভিটেমাটিহীন মানুষের প্রেম, ভালোবাসা, সংগ্রাম, মৃত্যু, প্রান্তিক মানুষের উঠেআসার কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে ‘জীবনবেলার বিকিকিনি’ উপন্যাসে।
যখন খেলার মাঠ, বাড়ি, পরিচিত পথ গিলে খায় মেঘনা তথন তা সহ্য করতে পারে না ফিরোজ। চাচার সাথে পা বাড়ায় ঢাকায়। একদিকে মায়ের মৃত্যু অন্যদিকে রোমেলা ও ইস্কান্দার মৃধার অত্যাচারÑ তবুও জীবন বেঁচে থাকে ছমির গাজির মতো হৃদয়বান মানুষ আছে বলে। শামীমের মতো বন্ধু, মিলির মতো বোন জুটে যায় ফিরোজের। শৈশবের খেলার সাথী সুইটি স্বপ্নপরী হয়ে মনের গহীনে যোগায় প্রেরণা। প্রেম ও প্রণয়ের মাঝে তবু চলে সংঘাত। কেউ পায় কেউ বা হারায়। বানের পানির মতো ভাসতে ভাসতে বেঁচে থাকা ফিরোজও পায় সুখের সন্ধ্যান। সেকি সুখ, নাকি দলা পাকানো দুঃসহ কষ্টের স্মৃতি! চপল শেফালি, শাহিন, নাহারদের পাশাপাশি ইয়াজল, জগলুও ঘটনার সাথে চলে আসে বন্ধুতায়, সাহসীকতায়। বিমানের সিটে কোন সে স্বপ্নকন্যা ফিরোজের পাশে এসে বসে? সকল প্রাপ্তির ভিতর অপ্রাপ্তির কষ্টগুলো পার্শ্বচরিত্রের মতোই চলমান জীবনের বাঁকে বাঁকে।
লেখক পরিচিতি
মনসুর আজিজ মূলত কবি। জন্ম চাঁদপুর জেলার হাইমচরে। ১৯৭৫ সালের পনের
আগস্টে। নীলকমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা
করেন। হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে এসএসসি আর সাভার
কলেজ থেকে বাণিজ্যে এইচএসসি পাস করেন প্রথম বিভাগে। ব্যবস্থাপনায়
কৃতীত্বের সাথে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
চার ভাই দুই বোনের মধ্যে মনসুর আজিজ দ্বিতীয়। বাবা মোহাম্মদ আজিজুল হক মা
আনোয়ারা বেগম। স্ত্রী নিলুফার আজিজ এবং দুই ছেলে ইউশা ও রাওহাকে নিয়ে তার
কবিতার সংসার। সাংবাদিকতা আর শিক্ষকতার শিকল ছিঁড়ে বর্তমানে মূখ্য
কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে। বসবাস
করছেন ঢাকার সাভারে।
লেখালেখির শুরু সাতাশিতে। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে। দেশের প্রথম
শ্রেণীর দৈনিক, মাসিক, সাহিত্যপত্রিকা ও লিটল ম্যাগে লিখে আসছেন দীর্ঘদিন
ধরে। কবিতার সাথেই তার বসবাস, নিরন্তর পথচলা। তবে সাহিত্যের অন্যান্য
শাখায়ও তার বিচরণ কম নয়। লিখছেন ছড়া, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ,
নিবন্ধ। প্রকাশিত গ্রন্থ তেরোটি।
তারমধ্যে কাব্যগ্রন্থ পাঁটটি; অতলান্ত নীলচোখ-২০০২, অনন্ত আকাশের জ্যোতির্ময় নক্ষত্র- ২০০৭, মনুষ্যত্বের ল্যাম্পপোস্ট-২০০৯; শব্দের বেনারসি-২০১১ ও জোড়াপাখি ফুলের রুমাল ২০১২। কিশোরকবিতাগ্রন্থ তিনটি নীল গালিচার স্বপ্ন- ২০০৭, হৃদয়পুরের রাজা- ২০০৮, নতুন ভোরে হীরের কুচি-২০১১, ছড়াগ্রন্থ দুটি দুর্দিনের ছড়া-২০০৯, মেঘের খোপায় পালক ভরে-২০০৯; কিশোর উপন্যাস একটি; ভেলায় চড়ে সারাবেলা- ২০০৮। উপন্যাস জীবনবেলার বিকিকিনি ২০১৩, ছোটগল্প: দূর অতীতের কান্না ২০১৩। প্রকাশের অপেক্ষায় আছে আরো বেশ
কটি পান্ডুলিপি। তিনি সাহিত্য সংস্কৃতি কেন্দ্র লেখক সম্বর্ধনা ২০০৮ ও
ম্যাজিক লণ্ঠন সম্বর্ধনা ২০০৮ লাভ করেন। তিনি রাইটার্স অব বাংলাদেশ এর সভাপতি ও সম্পাদনা করছেন সাহিত্যের ছোটকাগজ আড্ডাপত্র। নব্বই দশকে সাহিত্য চর্চায় এসে
যারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন মনসুর আজিজ তাদের মধ্যে
অন্যতম।