Category:থ্রিলার
উপন্যাসের নামটি উচ্চারণ করতেই মনে হবে যেন এটি একটি প্রেমের উপন্যাস। কিন্তু এটি কেবল প্রেমের উপন্যাস না। রহস্যে ঘেরা পুরো উপন্যাসটি। খুনের রহস্য। খুব ভোরবেলা নিজের ট্রলারেই মহাজন..
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
উপন্যাসের নামটি উচ্চারণ করতেই মনে হবে যেন এটি একটি প্রেমের উপন্যাস। কিন্তু এটি কেবল প্রেমের উপন্যাস না। রহস্যে ঘেরা পুরো উপন্যাসটি। খুনের রহস্য। খুব ভোরবেলা নিজের ট্রলারেই মহাজনের লাশ পাওয়া যায়। মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন। কে বা কারা মারলো তাকে? অথবা কীভাবে মারা গেলেন তিনি? এই রহস্যই ভেদ করতে হবে পাঠকদের নিজেদের, উপন্যাসটি পড়ে। আর প্রেম? লেখক, ধ্রুপদ এর লেখা এই প্রথম কোনো প্রেমের উপন্যাস যা পাঠকদের পূর্ব-এর সকল প্রেম উপন্যাস সম্পর্ক-এ ধারণা সম্পূর্ণ পাল্টে দেবে। বিশ্বাস না হলে পড়েই দেখতে পারেন।
উপন্যাসের প্রতিটি পৃষ্ঠায় টানটান উত্তেজনা, রহস্য, স্মৃতিচারণ ও আদর্শের লড়াই ফুটে উঠেছে। খুনের রহস্যের আবরণ উন্মোচনের পাশাপাশি, নীতিবোধ ও বাস্তবতার এক অপূর্ব মিশ্রণ রচনা করেছে "নন্দিপাড়া আজও বৃষ্টি পড়ে!"
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
বইটির সাইজ, পৃষ্ঠা, প্রচ্ছদ ও বাইন্ডিং সবই নান্দনিক। মূলত সেই নান্দনিকতার টানেই ব্যস্ততার মাঝেও বইটি পড়া শুরু করি। এক কথায়, প্রচ্ছদ দেখে সাত-পাঁচ না ভেবেই বইটি হাতে তুলে নিই।
প্রথমে মনে হয়েছিল, এটি সাধারণ প্রেম ও খুনের রহস্য নিয়ে কোনো প্রচলিত কাহিনি। কিন্তু একসময় আটকে গেলাম চপলের গভীর বাস্তবধর্মী চিন্তা এবং তার বাবার দেওয়া জীবনদর্শনমূলক উপদেশে।
খুনের রহস্যের চেয়েও এই দার্শনিক অংশ আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে।
"নন্দিপাড়ায় এক উপজাতির হাতে বাঙালি মহাজন খুন!"—এই খবর দেখে চপল দীর্ঘ দশ বছর পর শিকড়ের টানে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ একটাই—তার একসময়ের ভালোবাসার মানুষ লাবণ্যর স্বামী সুব্রতকে খুনের দায় থেকে রক্ষা করা।
চুপিসারে, নিভৃতে...
লাবণ্য ছিল পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মেয়ে। চপল ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় লাবণ্যর বাবা তাকে অন্যত্র বিয়ে দেন। একসময় লাবণ্য চপলের কাছে পালিয়ে আসতে চেয়েছিল, কিন্তু চপল তার বাবার দেওয়া উপদেশ মনে করে আদর্শচ্যুত হয়নি।
গল্পের এক পর্যায়ে চপল রাস্তায় বোরকা পরা এক নারীকে দেখে পর্দা সম্পর্কে তার যুক্তি তুলে ধরে।তারপর বেশ কয়েকটি পাতা জুড়ে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে বেদআত ও পীরতন্ত্র নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা উঠে এসেছে, যা পাঠকের ভাবনার জগতে নাড়া দেয়।
উপন্যাসের ভাষাশৈলী, কাহিনির বিন্যাস ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি পাঠকের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করবে।
সর্বোপরি, পাঠকদের উদ্দ্যেশ্যে বলবো আপনার ভাবনাচিন্তা ছাড়াই বইটা পড়তে শুরু করতে পারেন। আশা করি বইটা আপনাকে নিরাশ করবেনা।
পছন্দের কিছু লাইন-
১.সুন্দর পরিবেশ তোমাকে প্রথমে ওর অপরূপ রূপে বিমোহিত করতো।তুমি অবাক চোখে তাকিয়ে দেখতে সৌন্দর্য আর ধীরে ধীরে একসময় ঠিকই নিজের মধ্যে কেমন এক নিঃসঙ্গতা অনুভব করতে। তবে ওই নিঃসঙ্গতার মাঝেও এক ধরনের আনন্দ অনুভব করছি তুমি।
২.তোমার ভালবাসার মানুষ কষ্ট পাবে এই ভেবে কখনোই নিজের আদর্শ থেকে এক চুল পরিমাণও বিচ্যুতি ঘটিও না। তা না হলে তোমার সারা জীবনটাই শেষে বৃথা যাবে;মরার সময় শান্তিতে মরতে পারবে না;একটা অতৃপ্তি থেকে যাবে।
Report incorrect information