4 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
বই এর প্রথম ফ্লাপ
বই সম্পর্কে :
নাস্তিকতাবাদ একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় কুসংস্কার। আর এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন নাস্তিকতাবাদের জালে আবদ্ধ বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। নাস্তিকর..
TK. 450
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
Product Specification & Summary
বই এর প্রথম ফ্লাপ
বই সম্পর্কে :
নাস্তিকতাবাদ একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় কুসংস্কার। আর এই কুসংস্কারাচ্ছন্ন নাস্তিকতাবাদের জালে আবদ্ধ বর্তমান তরুণ প্রজন্ম। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে মানব প্রজন্মকে নাস্তিকতাবাদের দিকে আহ্বান করছে। অথচ দেখা যায় বহু কিংবদন্তি বিজ্ঞানী নাস্তিক ছিলেন না। তাঁরা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করতেন। যেমন বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইস্টাইন আল্লাহর অস্তিত্বকে স্বীকার করে বলেছিলেন, “মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি খুবই সীমিত ও স্বল্প। মানুষ সৃষ্টি জগৎকেউ বুঝে শেষ করতে পারেনি, সে তার সীমিত জ্ঞানে মহান স্রষ্টাকে বুঝবে কি করে?" (৫০ জন উচ্চ শিক্ষিতা মহিলার ইসলাম গ্রহণ, পৃষ্ঠা-৯)
বিজ্ঞানী আইজাক নিউটন বলেছেন, “একমাত্র চরম বুদ্ধিমান ও পরম ক্ষমতাশালী এক শক্তির নির্দেশেই সূর্য, গ্রহ নক্ষত্র এবং ধুমকেতুর এক আশ্চর্য সুন্দর জগৎ সৃষ্টি হতে পারে। অন্ধের যেমন বর্ণ সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নেই তেমনি সর্বজ্ঞানী আল্লাহ কিভাবে সকল বস্তু ধারণ করেন সে সম্বন্ধে কোন ধারণা করতে আমরা সম্পূর্ণ অক্ষম।” (চল্লিশজন বিজ্ঞানীদের মতে আল্লাহর অস্তিত্ব)
ইংল্যান্ডের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী রোমানেস তাঁর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে স্বীকার করে বলেছেন, “মহাবিশ্বকে কোন ক্রমেই আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার না করে বোঝা যায় না।” (ঐ পুস্তক)
যাইহোক নাস্তিকদের কয়েকটি জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমার এই গ্রন্থ প্রনয়ণ। স্বভাবতই এই গ্রন্থটি চিন্তাশীল পাঠক পাঠিকার প্রাণ স্পর্শ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন. এই মহাবিশ্বে চার ধরণের প্রাকৃতিক শক্তি কাজ করছে। ১) মধ্যাকর্ষণ শক্তি, ২) দুর্বল পারমানবিক শক্তি, ৩) শক্তিশালী পারমানবিক শক্তি, ৪) ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক শক্তি।
বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন যে এই চার শক্তি সুশৃঙ্খল জগতে অস্তিত্ব লাভের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক সেই মাত্রাই রয়েছে। এই চার ধরণের শক্তির মধ্যে কোন একটি শক্তি যদি কোটি কোটি
কোটি ভাগের এক ভাগ কমবেশি হত তাহলে এই ব্রহ্মাণ্ডে মনুষ বা কোন প্রাণী বসবাস করতে পারতো না।
এছাড়াও এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড আরো অনেক সুক্ষ সুক্ষ এমন বিষয় রয়েছে যা সামান্য হেরফের হলে এই ব্রম্ভান্ডে প্রাণীর বসবাসের কোন উপযোগী স্থান থাকতো না। যেমন সূর্য যেখানে রয়েছে যদি তা সামান্য উপরে উঠে যেত তাহলে সারা বিশ্ব হীম শীতল হয়ে যেত, কিংবা যদি সামান্য নীচে নেমে আসত তাহলে সারা পৃথিবী জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যেত। প্রাকৃতিক সমস্ত কিছুই গাণিতিক নিয়মে নির্দিষ্ট মাত্রায় যে যার কাজ করে চলেছে সৃষ্টিকর্তার অদৃষ্ট অঙ্গুলি হেলনে। কোনও কিছুই স্বতস্ফুর্তভাবে হয়নি বা হচ্ছে না। অথচ নাস্তিক্যবাদীদের ধারণা সবকিছুই স্বতস্ফুর্তভাবে হয়েছে এবং হচ্ছে। এই বইয়ে অসংখ্য প্রমাণ ও যুক্তি-তর্কের অবতারণা করা হয়েছে যার কাছে তাবড় তাবড় নাস্তিক্যবাদীরা মাথা নত করতে বাধ্য।