1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
পাতালকোট থেকে ত্রিভুজ আর অর্ধেক কালো ও সাদা বৃত্তের উল্কি শরীরে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল অনন্য পূরবী অনিকেত বাদশা দেবকান্তি সারিকা মৌলীনা বাবুলাল এবং সাধ্ন বৈরাগী। এক রহস্যময় চরিত্র জয়ন্..
TK. 450
বইটি বিদেশি সাপ্লাইয়ারের নিকট থেকে সংগ্রহ করতে ৩০-৪০ দিন সময় লাগবে।
Product Specification & Summary
পাতালকোট থেকে ত্রিভুজ আর অর্ধেক কালো ও সাদা বৃত্তের উল্কি শরীরে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিল অনন্য পূরবী অনিকেত বাদশা দেবকান্তি সারিকা মৌলীনা বাবুলাল এবং সাধ্ন বৈরাগী। এক রহস্যময় চরিত্র জয়ন্ত যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাতালকোটে এসেছিল তা পূরণ করে ফিরে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু সে কি আদৌ তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সফল হয়?
তিব্বতের লাসা একটি প্রাচীন রহস্যময় শহর, তার চেয়েও প্রাচীন ও রহস্যময় প্রথা দালাই লামা নির্বাচন। তৃতীয় দলাই লামা মারা যাওয়ার পর চতুর্থ দালাই লামা হয়েছিলেন চেঙ্গিজ খানের বংশধর। হত্যাকারী ও অত্যাচারী হিসেবে খ্যাত মঙ্গোলদের বংশে পরবর্তী দালাই লামার উত্থান কীভাবে সম্ভব হল? ধর্ম ও রাজনীতি নাকি পরস্পর একে অপরের সঙ্গে লতায় পাতায় জড়িয়ে চলে। মঙ্গোল শাসকের বংশধ দালাই লামার আসনে অধিষ্ঠিত হওয়া কি ধর্ম ও রাজনীতির মিশেলে রচিত এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ? তিব্বতিরা এই কূটনীতিকে কী চোখে দেখেছিলেন? ওই ত্রিভুজ আর বৃত্তের উল্কির সঙ্গে কি এমনই কোন ‘কূট’ সংযোগ রয়েছে?
১৮৯৭ সাল, ব্রাণ্ডন ম্যাকার্থি নামের এক ইংরেজ আধিকারিক ভারতের প্রত্ন-সম্ভারের প্রতি আকর্ষিত হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে ভ্রমণ করতে শুরু করেন। ভ্রমণকালে তিনি অধুনা অরুণাচলের উত্তর দিবাং জেলার জঙ্গলে একটি রহস্যময় গুহামুখ আবিষ্কার করেন; গুহামুখে আঁকা রয়েছে ত্রিভুজ ও বৃত্তের সংকেত। স্থানীয় মিসমি আদিবাসীরা বলেন অশুভ এক সত্ত্বার কবর স্থান ওই গুহা; যা চোখে দেখলেও নাকি শিকার হতে হয় সেই পৈশাচিক শক্তির। ম্যাকার্থি সাহেব পিশাচে বিশ্বাস করেন না। কিন্তু ত্রিভুজ আর বৃত্তের নেপথ্য ইতিহাস তাঁকে তারা করে বেড়ায়। সেই তাড়নায় তিনি উপস্থিত তিব্বতি যোগ ও তন্ত্রের অন্যতম আকর তাওয়াং মঠে। ম্যাকার্থি সাহেবকে তারপর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কী হয়েছিল তাঁর? বিভিন্ন সময় ও বিভিন্ন স্থানে ত্রিভুজ ও বৃত্তের সংকেত ছড়িয়ে আছে। কী রহস্য গোপন আছে এই সংকেতের মধ্যে?
পাতালজাতক কী? সংকেতের সঙ্গে পাতালজাতকের কি কোন সম্পর্ক আছে? ভালো আর মন্দের মিশেলে তৈরি মানুষের চরিত্র। পাতালজাতক কি তেমনই মানুষ? নাকি শুভ অশুভর দ্বন্দে জন্ম নেওয়া কোন আসুরিক শক্তি?
জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪ গ্রিন সিটি, দুর্গাপুর। বাবা দিলীপ শীল অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি কর্মী, মা কৃষ্ণা শীল গৃহবধূ। পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা দুর্গাপুরের বুকে। রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজ থেকে জীববিজ্ঞান শাখায় স্নাতক। পেশায় ও নেশায় ছবি আঁকিয়ে। পাশাপাশি লেখালেখি চলছে তেরো বছর বয়েস থেকে। প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় স্কুলের বার্ষিক পত্রিকা ‘সুচেতনা’য়, তারপর বিভিন্ন ছোটো বড়ো পত্রিকা, ব্লগ, অনলাইন পত্রিকায় গল্প উপন্যাসিকা লেখালেখি দিয়ে সাহিত্যচর্চা। পূর্ব প্রকাশিত বই গল্প সংকলন ‘ব্যক্তিগত শত্রু’, বায়োথ্রিলার উপন্যাস ‘সিন্ধুজাতক’ ও হরর উপন্যাস ‘চন্দ্রপ্রতাপগড়ের আতঙ্ক’। বর্তমানে বিবাহসূত্রে গুজরাটের গান্ধীধাম শহরের বাসিন্দা। ভালো লাগে মানুষের জীবনযাত্রা দেখতে আর পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে।