1 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত কচি-কাঁচা একাডেমি ৩০ বছর অতিক্রম করে ২০১৯ সালে। ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আয়োজন করা হয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণে ‘চোখ ..
TK. 210TK. 174 You Save TK. 36 (17%)
Get eBook Version
TK. 95
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
Product Specification & Summary
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে অবস্থিত কচি-কাঁচা একাডেমি ৩০ বছর অতিক্রম করে ২০১৯ সালে। ৩০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আয়োজন করা হয় মহাকাশ পর্যবেক্ষণে ‘চোখ মেলো চাঁদের দেশে’, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ‘কেমন স্কুল চাই’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতা।
‘কেমন স্কুল চাই’ শিরোনামে রচনা প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সের ৮০ জন রচনা জমা দেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে রচনাগুলো মূল্যায়ন করেন লেখক-গবেষক রাখাল রাহা, সংস্কৃতিজন লিয়াকত চৌধুরী এবং অধ্যাপক অসীম বিভাকর। তাঁদের সুচিন্তিত বিবেচনায় কচি-কাঁচা একাডেমির ৩০ বছর পূর্তি উৎসবে তিন গ্রæপের ৯ জন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। প্রত্যেক গ্রæপের প্রথম স্থান অধিকারীকে পাঁচ হাজার, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে তিন হাজার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে দুই হাজার টাকার বই, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে বাছাই করে ৩২টি রচনা সংকলন করে ‘স্বপ্নের স্কুল’ বইটির আত্মপ্রকাশ। পুরস্কার পেয়েও যেমন অনেকের রচনা এখানে স্থান পায়নি তেমনি পুরস্কৃত না হয়েও অনেকের লেখা এই বইতে স্থান পেয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন বয়সের চিন্তাশীল কিছু ব্যক্তি যারা নিজেরাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক হিসেবে তাদের স্বপ্নের স্কুলের যে চিত্র এঁকেছেন তারই এক প্রামাণ্য দলিল এই বই। বইটির ভূমিকায় সম্পাদক বলেন- ‘ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের কারখানা কেমন হওয়া দরকার এ বিষয়ে শিশু-কিশোর-তরুণ-যুবা-প্রবীণদের এসব প্রস্তাব যদি রাষ্ট্র কোনোদিন আমলে নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে, তাহলে এই বইটি হয়তো একটি সূত্র হিসেবে কাজ করতে পারে।’
ভূমিকাসহ বইটির সূচিপত্রে রয়েছে- ক বিভাগে : দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি, খ বিভাগে : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ও গ বিভাগে রয়েছে শিক্ষক ও অভিভাবকদের লেখা।
ক বিভাগে অংশ নিয়েছিল দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১৮ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৫ জনের লেখা ছাপা হয়েছে। লেখার নিচে তাদের নাম-পরিচয় দেওয়া হয়েছে।
খ বিভাগে অংশ নিয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নির্বাচিত ২০ জনের লেখা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই বিভাগের জন্য শব্দসীমা ছিল ১২০০।
এবং গ বিভাগে লিখেছেন শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। গ বিভাগ নির্ধারণ করা হয়েছিল- স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য। এ বিভাগে শুধু একজনের রচনা পাওয়ায় গ ও ঘ বিভাগকে একত্রিত করে গ বিভাগ করা হয়। প্রতিযোগিতার নিয়মানুসারে রচনা হিসেবে তাঁর লেখা বিবেচনাযোগ্য না হলেও এই বইতে সেটিকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
বইটির সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী। বইটির প্রতিটি লেখাই সুসম্পাদিত ও মননশীল। ছাত্র অভিবাকদের চোখে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে এরকম একটি কাজ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হোক।