7 verified Rokomari customers added this product in their favourite lists
আমাদের ছেলে বিজয়সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়
সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।
মহাবংস পালি ভাষায় রচিত খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর এক কালজয়ী ঐতিহাসিক কাব্য। সিংহলী বৌদ্ধ ভিু মহানাম এর কথিত..
TK. 600TK. 516 You Save TK. 84 (14%)
Get eBook Version
TK. 270
Product Specification & Summary
আমাদের ছেলে বিজয়সিংহ লঙ্কা করিয়া জয়
সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।
মহাবংস পালি ভাষায় রচিত খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর এক কালজয়ী ঐতিহাসিক কাব্য। সিংহলী বৌদ্ধ ভিু মহানাম এর কথিত রচয়িতা। সিংহল তথা শ্রীলংকার ইতিহাস গ্রন্থটির প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তু হলেও প্রসঙ্গক্রমে দণি-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, ধর্মীয় এবং আর্থ-সামাজিক প্রোপটের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়/তথ্য উঠে এসেছে। গ্রন্থটি তাই দণি-পূর্ব এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ আধার ও উৎস হিসেবে স্বীকৃত।
খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতক পর্যন্ত প্রায় হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস এ গ্রন্থে বিধৃত। এ গ্রন্থই প্রথম স্যা দেয় : সিংহলের আদি পুরুষ বঙ্গবীর বিজয়সিংহের নামানুসারেই দেশটির নাম হয় ‘সিংহল’। বিজয়ের মাধ্যমেই সিংহল, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ত্রিদেশীয় আত্মিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং মৈত্রীবন্ধন গড়ে উঠেছিল। সিংহলী ও বাঙালির নৃতাত্ত্বিক সাদৃশ্যও উপর্যুক্ত যোগসূত্রের সত্যতা প্রতিপন্ন করে।
ধ্র“পদী আদি কবি মহানাম ঐতিহাসিক ঘটনাবলী সংগ্রহ করে ছন্দের ঝংকারে বিকীর্ণ করেছেন এই দ্বীপের ইতিহাস এবং সেই ইতিহাস সমসাময়িককালের প্রচলিত বৌদ্ধধর্ম সংশ্লিষ্ট পৌরাণিক কাহিনী, রূপকথা, গল্প, জনশ্র“তি, আখ্যান প্রভৃতি, যা অতিরঞ্জিত ভাবকল্পনায় প্রদুষ্ট হলেও সত্যবর্জিত নয়। কবির ভাব-কল্পনার ঐশ্বর্র্যে ও আতিশয্যে তা বরং ইতিহাসের স্তরে উন্নীত হয়ে কালের ঐতিহ্যকে বহন করছে যুগ যুগ।
দিলীপ কুমার বড়–য়া ও মৈত্রী তালুকদারের যতœ ও দীর্ঘদিনের পরিশ্রমলব্ধ এই অমূল্য ও ঐতিহাসিক পুঁথিকাব্য মহাবংস-এর সার্থক ভাষান্তর এক ঐতিহাসিক গুরুদায়িত্ব পালনের নিদর্শনস্বরূপ।
মৈত্রী তালুকদার
ড. দিলীপ কুমার বড়য়া, জন্ম (৩১ ডিসেম্বর ১৯৬৭) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয়া থানার শিলক গ্রামে। পিতা নিরোদ বরন বড়–য়া, মাতা পারিকা বড়–য়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বি.এ সম্মান ও এম.এ ডিগ্রি লাভ; ১৯৯৫ সালে সংস্কৃত ও পালি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান; ২০০০ সালে জাপানের আইচি গাকুইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন এবং ২০০২ সালে জাপান সরকারের জেএসপিএস স্কলারশিপে পোস্ট-ডক্টরেট গবেষণা সমাপ্ত করেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ : বৌদ্ধধর্ম (১৯৯৭), উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; ঝুহপৎবঃরংস রহ ইধহমষধফবংযর ইঁফফযরংস (২০০২), ঘধমড়ুধ, ঔধঢ়ধহ; গন্ধবংস (২০০৫), আজকাল প্রকাশনী, ঢাকা; বৌদ্ধরঞ্জিকা (২০০৫), নবযুগ প্রকাশনী, ঢাকা; সদ্ধম্ম-সংগহো (২০০৭), পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; কীর্তিমান বৌদ্ধ সাহিত্যিক ও দার্শনিক (২০০৮), পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; বুদ্ধঘোসুপ্পত্তি (২০০৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, ঢাকা এবং পালি ভাষার ইতিবৃত্ত (২০১০), বাংলা একাডেমী, ঢাকা। এছাড়াও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গবেষণা জার্নালে ডক্টর বড়–য়ার ৩৫টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে যোগদান ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত।
মৈত্রী তালুকদার, জন্ম (১৯ অক্টোবর ১৯৭২) চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনীয়া থানার ঘাটচেক গ্রামে। পিতা বেণুতোষ তালুকদার, মাতা জয়া রানী তালুকদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বি.এ সম্মান ও এম.এ ডিগ্রি লাভ; জাপান, সিঙ্গাপুর এবং ভারতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ; দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে পিএইচ.ডি গবেষণারত।